ঢাকা, বুধবার   ০৫ মার্চ ২০২৫,   ফাল্গুন ২০ ১৪৩১

জেলে ও হাসপাতালে বসে পরীক্ষা দিচ্ছেন জাবিতে হামলাকারী দুই ছাত্রলীগ

জাবি সংবাদদাতা  

প্রকাশিত : ১০:১৪ পিএম, ৪ মার্চ ২০২৫ মঙ্গলবার | আপডেট: ১০:২৩ পিএম, ৪ মার্চ ২০২৫ মঙ্গলবার

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ১৫ জুলাই রাতে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার দায়ে গ্রেপ্তার হওয়া নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কার্যকরী সদস্য ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলাম সোহান জেলে বসে এবং অসুস্থতার মিথ্যা অভিনয় করে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চতুর্থ বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা দিচ্ছেন আরেক হামলাকারী লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী ইয়া রাফিউ শিকদার আপন।

বৃহস্পতিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক জামালউদ্দিন রুনু। আদালতের রায়ে শরিফুল ইসলাম সোহান পরীক্ষা দিচ্ছে বলে জানান তিনি। 

জানা যায়, গত ১৯ জানুয়ারি পরীক্ষা দিতে এসে আটকের পর পরবর্তী পরীক্ষার আগেই আদালত থেকে জেলে বসে পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি আনেন সোহান। তার আইনজীবী এসে অনুমতি পত্রের কপি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর জমা দেন। সেই সাথে এর অনুলিপি বিভাগ ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে প্রেরণ করেন। এরপর থেকে নিয়মিত জেলে বসে পরীক্ষা দিচ্ছেন তিনি। 

এদিকে অসুস্থতার মিথ্যা অভিনয় করে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে পরীক্ষা দিচ্ছেন আরেক ছাত্রলীগ নেতা ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলায় সরাসরি জড়িত লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী ইয়া রাফিউ শিকদার আপন। জানা যায়, হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে রাউফু শিকদারকে লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে।  তবে অসুস্থ না হলেও পরীক্ষা দেওয়ার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আপন। 

এবিষয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন ,আমাদের কাছে হামলাকারীরা পরীক্ষা দিতে পারবেনা এমন কোন নির্দেশনা নাই । তাই বিশেষ ভাবে পরীক্ষার দেওয়ার আবেদন কাছে আসলে আমাদের সেই কাজ করতে হয়। মূলত বিভাগ এবং রেজিস্ট্রারের কাছে এর অনুমতি সংক্রান্ত আবেদন আসে আমরা কেবল তা বাস্তবায়ন করি।

শরিফুল ইসলাম সোহানের বিষয়ে পরিশেবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি জামালউদ্দিন রুনু বলেন, আমাদের কাছে পরীক্ষা নেওয়ার অনুমতি পত্র এসেছিল । বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অনুমতি  দিয়েছে। আমরা শুধু পরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছি।

আপনের বিষয়ে লোকপ্রশাসন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক হরে কৃষ্ণ কুন্ডু বলেন, একজন পরীক্ষা দিচ্ছেন। তবে এবিষয়ে আমি বলতে পারবনা। পরীক্ষানিয়ন্ত্রক আর পরীক্ষা কমিটির সভাপতি বলতে পারবে।

উল্লেখ্য ইয়া রাফিউ শিকদার আপন শাখা ছাত্রদলের করা জুলাই মামলার ১৩৭ নাম্বার আসামি।

এমবি//