ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০৬ মার্চ ২০২৫,   ফাল্গুন ২২ ১৪৩১

টিকটকার প্রেমিকের সঙ্গে উধাও প্রবাসীর নববধূ

রাজবাড়ী প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১১:৫৭ এএম, ৬ মার্চ ২০২৫ বৃহস্পতিবার

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে টিকটকারের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে প্রবাসীর নববধূ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ উধাও হয়েছেন।

ঘটনাটি ঘটেছে বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের দক্ষিণবাড়ী গোয়ালপাড়া গ্রামে। থানায় অভিযোগ সূত্রে বিষয়টি জানা যায়।

জানা যায়, জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের দক্ষিণবাড়ী গোয়ালপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে মালয়েশিয়া প্রবাসী মো. শাহ আলম হোসেনের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় ইসলামপুর ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের মৃত রিয়াজ মণ্ডলের মেয়ে রিয়া মনি (১৯)র।

বিয়ের কিছুদিন পর স্বামী শাহ আলম হোসেন স্ত্রীকে শ্বশুরবাড়িতে রেখে মালয়েশিয়ায় চলে যান। এরই মধ্যে স্ত্রীর পরামর্শে নতুন বাড়ি নির্মাণের জন্য তিনি স্ত্রীকে ৫ লাখ টাকা পাঠান।

এদিকে, স্বামী বিদেশে থাকার সুযোগে রিয়া মনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে টিকটকার ফারুকের সঙ্গে পরিচিত হন এবং একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে তাদের নিয়মিত যোগাযোগ চলতে থাকে এবং একসময় ঠিকানা আদান-প্রদান হয়। 

প্রেমিক ফারুকের বাড়ি বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার পিরব ইউনিয়নের সিহালী গ্রামে বলে জানা গেছে।

অভিযোগকারী মনির হোসেন জানান, গত ৯ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টার দিকে রিয়া মনি তার মা ফরিদা বেগমের (৫০) সঙ্গে বাবার বাড়ি বেড়ানোর কথা বলে শ্বশুরবাড়ি থেকে বের হন। পরে আর ফিরে আসেননি।

শাহ আলম হোসেন সেদিন দুপুরে স্ত্রীকে ফোন করলে রিয়ার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর বন্ধ পান। এরপর তিনি শ্বশুরবাড়িতে ফোন করে স্ত্রীর খোঁজ নেন। প্রথমে জানানো হয়, রিয়া বান্ধবীর বাড়িতে বেড়াতে গেছেন। পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিনি খালার বাড়ি ঝিনাইদহে গেছেন।

এরপর পরিবারের লোকজন রিয়াকে ফেরাতে গেলে তারা জানতে পারেন, রিয়া তার বাবার বাড়িতেও নেই। এসময় স্বামী শাহ আলমের পরিবারের সন্দেহ হলে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, নতুন বাড়ি নির্মাণের জন্য পাঠানো ৫ লাখ টাকা ও প্রায় ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের স্বর্ণালংকার (নেকলেস, গলার চেইন, হাতের রুলি, কানের দুল ও নাকফুল) গায়েব।

ঘটনার পর ১১ ফেব্রুয়ারি রিয়ার চাচিকে ফোনে বিষয়টি জানানো হলে এক সপ্তাহের মধ্যে রিয়াকে হাজির করার আশ্বাস দেন। তবে দীর্ঘদিন পার হলেও কোনো খোঁজ না পাওয়ায় শাহ আলমের বড় ভাই মনির হোসেন বালিয়াকান্দি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

বালিয়াকান্দি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জামাল উদ্দিন জানান, “অভিযোগটি পাওয়ার পর একজন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ভিকটিম উদ্ধারের কাজ চলমান রয়েছে।”

এএইচ