স্বাধীনতা পুরস্কার গ্রহণ করবেন না বদরুদ্দীন উমর
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৯:৫১ পিএম, ৬ মার্চ ২০২৫ বৃহস্পতিবার

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে স্বাধীনতা পুরস্কার গ্রহণে অপারগতা জানিয়েছেন প্রথিতযশা লেখক, বুদ্ধিজীবী ও জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সভাপতি বদরুদ্দীন উমর।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) রাতে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল হাকিমের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বদরুদ্দীন উমরকে উদ্ধৃত করে ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৯৭৩ সাল থেকে আমাকে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা থেকে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। আমি সেগুলোর কোনোটি গ্রহণ করিনি। এখন বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আমাকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা করেছেন। এজন্য তাদের ধন্যবাদ। কিন্তু তাদের দেওয়া এই পুরস্কারও গ্রহণ করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। এই প্রেস বিবৃতির মাধ্যমে আমি এটা জানিয়ে দিচ্ছি।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, আগামী সপ্তাহে আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কারের জন্য মনোনীত ব্যক্তিদের নাম ঘোষণা করা হবে। তবে আজ সরকারের একটি উচ্চপর্যায়ের সূত্রে ২০২৫ সালে স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীত বিশিষ্টজনদের নাম জানা গেছে। তাঁদের মধ্যে লেখক ও বুদ্ধিজীবী বদরুদ্দীন উমর ছাড়াও রয়েছেন মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি এম এ জি ওসমানী, বিজ্ঞানী অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম, ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদ, কবি আল মাহমুদ, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের অন্যতম নকশাকার নভেরা আহমেদ, পপসম্রাট আজম খান ও আবরার ফাহাদ। বদরুদ্দীন উমর ছাড়া বাকি সবাই মরণোত্তর হিসেবে এই পুরস্কার পাচ্ছেন। তাঁদের মধ্যে আবরার ফাহাদ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ছিলেন। ২০১৯ সালের অক্টোবরে বর্তমানে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের নির্যাতনে তিনি নিহত হন।
সরকার ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতিবছর স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে এ পুরস্কার দিয়ে আসছে। স্বাধীনতা পুরস্কারের ক্ষেত্রে পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে পাঁচ লাখ টাকা, স্বর্ণপদক, পদকের একটি রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়।
এমবি//