বৈষম্যবিরোধী রংপুর মহানগর মুখপাত্র নাহিদকে অব্যাহতি
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:২৬ এএম, ৯ মার্চ ২০২৫ রবিবার

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রংপুর মহানগরের মুখপাত্র নাহিদ হাসান খন্দকারকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। চাঁদা দাবির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর তাকে অব্যাহতি দেওয়া হলো।
শনিবার (৮ মার্চ) রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রংপুর মহানগরের আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহম্মদ ইমতি ও সদস্য সচিব রহমত আলীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রংপুর মহানগরের মুখপাত্র পদ থেকে নাহিদ হাসান খন্দকারকে অব্যাহতি প্রদান করা হলো। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ আদেশ কার্যকর থাকবে।
এর আগে, গত ১ মার্চ রাতে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। ওই নোটিশে বলা হয়, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাতে অবৈধ বালু উত্তোলনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঁদাবাজির অভিযোগের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। বৈষ্যমবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কোনো ধরনের অবৈধ কর্মকাণ্ডকে প্রশ্রয় দেয় না। অতএব, উপরোক্ত বিষয়ে কেন আপনার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তার কৈফিয়ত পত্র পাওয়ার তিনদিনের মধ্যে নিম্নে স্বাক্ষরকারীর কাছে পৌঁছাতে হবে। অন্যথায় বিষয়টি সাংগঠনিক নিয়মে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চাঁদা দাবির ভিডিওর পর নাহিদ হাসান খন্দকারের কল রেকর্ড ভাইরাল হয়। গত শনিবার রাতে নাহিদের সঙ্গে নগরীর গ্রিন সিটি ইকো পার্কের প্রকল্প ব্যবস্থাপক বেলাল হোসেনের চারটি কল রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
একটিতে নাহিদ মোবাইল ফোনে বেলালকে বলেন, ‘ডিসি আমাকে রাতে ফোন করেছিল, তারা কোনো স্টেপ নিবে কিনা। আমি তাঁকে বলেছি, আমরা তাদের সঙ্গে (পার্ক মালিক) কথা বলছি। আমরা প্রতিদিন ২০ হাজার টাকা দাবি করেছি এবং ১ লাখ টাকা চাইছি বলে আপনাদের লোক বিচার দিছে। আমার মনে হয় সবকিছু আটকায় দেওয়া ভুল হয়েছে। রাতেই আমি ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
কথোপকথনে বেলাল বলেন, ‘তুমি যেটা চাইছ, তোমার জায়গা থেকে। আওয়ামী লীগ চলে গেছে, ভেবেছি জ্বালা গেল। এখন এটা আবার নতুন করে তৈরি হয়েছে। তুমি ১ লাখ টাকা চেয়েছ, এটা আমাদের দেওয়া সম্ভব না। আমাদের এক পয়সা ইনকাম নাই।’
এসব কল রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নাহিদের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
আর ওই দিন সকালে নাহিদের চাঁদা দাবির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। দুই মিনিট ৪১ সেকেন্ডের ভিডিও ক্লিপে নাহিদকে দেখা গেলেও তার পাশে থাকা ব্যক্তিকে দেখা যায়নি। এতে এক বালু ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়।
তবে নাহিদ বলছেন, তাকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছে।
এএইচ