ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৮ মার্চ ২০২৫,   চৈত্র ৪ ১৪৩১

পরিবেশ রক্ষায় সোনাদিয়া দ্বীপ বন অধিদপ্তরের কাছে হস্তান্তর

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৪:৩৭ পিএম, ১৮ মার্চ ২০২৫ মঙ্গলবার

সোনাদিয়া দ্বীপের পরিবেশ রক্ষার্থে এটি বন অধিদপ্তরের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)। দেশের শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলেও পরিবেশের ক্ষতি করে নয়, এমনটাই জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

একসময় সোনাদিয়ার সমুদ্র সৈকতে গোলাপী ডলফিন ও ইরাবতী ডলফিনের দেখা মিললেও, এক দশকের ব্যবধানে এসব প্রাণী আর দেখা যাচ্ছে না। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করেই উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণের ওপর জোর দিচ্ছে সরকার।

বেজার পরিকল্পনা অনুসারে, বিশাল সংখ্যক অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব মাত্র পাঁচটি গ্রিন ইকোনমিক জোন তৈরি করলেই দেশের অর্থনৈতিক চেহারা বদলে যাবে। এ লক্ষ্যে, মীরসরাই ন্যাশনাল ইকোনমিক জোনের পূর্বের মাস্টারপ্ল্যান থেকে সীতাকুণ্ড বনাঞ্চল বাদ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে মীরসরাইতে ১৬ হাজার একর জমি রয়েছে, যা শিল্পায়নের জন্য যথেষ্ট। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে প্রায় আড়াই লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।

এছাড়া, মাতারবাড়িতেও কয়েক হাজার একর জমি রয়েছে, যা শিল্পায়নের জন্য বরাদ্দ রয়েছে। তবে বন কেটে কারখানা নির্মাণের কোনো প্রয়োজন নেই বলে মনে করছে বেজা। মীরসরাইয়ে অধিগ্রহণকৃত জমির কিছু অংশ আগামী দশ বছরে শিল্পায়নের আওতায় আসবে না। তাই এই অব্যবহৃত জমিতে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) মডেলে ৩০০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।

বেজার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, উন্নয়ন ও শিল্পায়ন অবশ্যই হবে, তবে তা পরিবেশ ধ্বংসের বিনিময়ে নয়। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সবুজ ও বাসযোগ্য বাংলাদেশ নিশ্চিত করাই সরকারের অন্যতম লক্ষ্য।

এদিকে, পরিবেশ রক্ষায় আপোষহীন অবস্থান নেওয়ায় রেজওয়ানা হাসানকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে।

এমবি//