ঢাকা, বুধবার   ১৯ মার্চ ২০২৫,   চৈত্র ৫ ১৪৩১

ম্যারাডোনার মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্যকর তথ্য

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০১:৪৭ পিএম, ১৯ মার্চ ২০২৫ বুধবার

২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর ফুটবল বিশ্বে নেমে আসে শোকের ছায়া, না ফেরার দেশে পাড়ি জমান দিয়েগো ম্যারাডোনা। তবে তার মৃত্যুকে ঘিরে রহস্য যেন কাটছেই না। এক পুলিশ কর্মকর্তার সাম্প্রতিক সাক্ষ্যে উঠে এসেছে নতুন চাঞ্চল্যকর তথ্য, যা মামলাটিকে নতুন মাত্রা দিতে পারে।

বুয়েন্স এইরেসের সান ইসিদরো আদালতে মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সাক্ষ্য দেন পুলিশ কর্মকর্তা লুকাস ফারিয়াস। তিনি জানান, ম্যারাডোনার মৃত্যুপরবর্তী সময়ে যে বাসায় তিনি ছিলেন, সেখানে কোনও চিকিৎসা সরঞ্জাম দেখতে পাননি।

লুকাস ফারিয়াস বলেন, ‘আমি কোনও সিরাম পাইনি, যা সাধারণত ঘরোয়া হাসপাতালের অংশ হিসেবে থাকার কথা।’ বিশেষ করে অস্ত্রোপচারের পর, ম্যারাডোনার মতো একজন রোগীর জন্য শিরায় ওষুধ দেওয়ার ব্যবস্থা থাকা অত্যন্ত জরুরি ছিল। কিন্তু ঘটনাস্থলে তেমন কোনও সরঞ্জাম না থাকায় সন্দেহের মাত্রা আরও বেড়ে যায়।

লুকাস আরও জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনি চমকে যান। ‘ম্যারাডোনার মুখের গঠন এবং তলপেট এতটাই ফুলে গিয়েছিল যে মনে হচ্ছিল, যে কোনো মুহূর্তে বিস্ফোরিত হবে। এ রকম দৃশ্য কল্পনাও করিনি,’ বলেন তিনি।

ম্যারাডোনার চিকিৎসার দায়িত্বে ছিলেন আটজন বিশেষজ্ঞ। তাদের মধ্যে সাতজনের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ এনে বিচার চলছে। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন একজন নিউরোসার্জন, একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ, একজন মনোবিজ্ঞানী, একজন মেডিকেল কো-অর্ডিনেটর, একজন নার্স কো-অর্ডিনেটর, একজন চিকিৎসক এবং এক রাতের শিফটের নার্স।

দিনের শিফটের নার্সের বিরুদ্ধে আলাদাভাবে বিচার চলবে বলে জানা গেছে।

গত সপ্তাহে সান ইসিদরোতে এই বহুল আলোচিত মামলার বিচার শুরু হয়। পুলিশের সাম্প্রতিক সাক্ষ্যপ্রমাণ মামলাটিকে আরও সংবেদনশীল করে তুলেছে। এখন প্রশ্ন উঠছে, চিকিৎসকদের দায়িত্বে গাফিলতি ছিল কি না এবং মৃত্যুর জন্য তারা কতটা দায়ী।

ফুটবল বিশ্ব ম্যারাডোনার প্রয়াণকে এখনো মেনে নিতে পারেনি। তবে এই বিচারপ্রক্রিয়া হয়তো তার মৃত্যু রহস্যের কিছুটা হলেও পর্দা উন্মোচন করবে।

এমবি//