ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৮ এপ্রিল ২০২৫,   চৈত্র ২৪ ১৪৩১

প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে অন্নপূর্ণা-১ পর্বত জয় করলেন বাবর 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৪:১৫ পিএম, ৭ এপ্রিল ২০২৫ সোমবার

হিমালয়ের বুকে ৮,০৯১ মিটার উচ্চতায় দাঁড়িয়ে আছে অন্নপূর্ণা-১,  বিশ্বের দশম সর্বোচ্চ, কিন্তু সবচেয়ে বিপজ্জনক পর্বতগুলোর একটি। সেই ভয়াল শৃঙ্গকে জয় করে আজ ৭ এপ্রিল সকালে নতুন ইতিহাস গড়েছেন বাংলাদেশের পর্বতারোহী ও চিকিৎসক বাবর আলী। তিনি প্রথম বাংলাদেশি যিনি অন্নপূর্ণা-১–এর চূড়ায় পৌঁছালেন। চূড়ায় উঠার মুহূর্তে তাঁর সঙ্গে ছিলেন অভিজ্ঞ শেরপা ফুর্বা অংগেল শেরপা। 

এই সাফল্যের খবর গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন অভিযানের ব্যবস্থাপক ফরহান জামান এবং নেপালের মাকালু অ্যাডভেঞ্চার-এর স্বত্বাধিকারী মোহন লামসাল।

চট্টগ্রামভিত্তিক পর্বতারোহণ ক্লাব ভার্টিক্যাল ড্রিমার্স–এর সাধারণ সম্পাদক ও অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা বাবর আলী পেশায় একজন চিকিৎসক। গত বছর তিনি একই অভিযানে জয় করেন এভারেস্ট ও লোৎসে — যথাক্রমে বিশ্বের প্রথম ও চতুর্থ সর্বোচ্চ শৃঙ্গ। এবার যুক্ত হলো আরও এক গৌরব অন্নপূর্ণা-১।

অত্যন্ত দুর্গম এই পর্বত অভিযানের উদ্দেশ্যে বাবর আলী ২৪ মার্চ পাড়ি জমান নেপালের পথে। প্রস্তুতিমূলক কাজ শেষে ২৮ মার্চ পৌঁছান অন্নপূর্ণা বেজক্যাম্পে। উচ্চতার সঙ্গে খাপ খাওয়াতে প্রথমে দুই রাত কাটান ক্যাম্প–১ (৫২০০ মিটার), এরপর এক রাত ক্যাম্প–২ (৫৭০০ মিটার)। acclimatization পর্ব শেষে আবার ফিরে আসেন বেজক্যাম্পে।

আবহাওয়া পূর্বাভাস বলেছিল, ৬ এপ্রিল পর্যন্তই থাকবে অনুকূল পরিবেশ। সেই অনুযায়ী ৩ এপ্রিল শুরু হয় চূড়ার পথে দ্বিতীয় ধাপের যাত্রা। ক্যাম্প–১, ক্যাম্প–২ পেরিয়ে বরফঝড়ের মধ্যেও ৫ এপ্রিল পৌঁছে যান ক্যাম্প–৩ (৬৫০০ মিটার)–এ। সাধারণত সামিট পুশ শুরু হয় ক্যাম্প–৪ (৭৪০০ মিটার) থেকে, কিন্তু সময় ও আবহাওয়া বিবেচনায় বাবর আলী ক্যাম্প–৩ থেকেই ৬ এপ্রিল রাতেই শুরু করেন চূড়ার উদ্দেশ্যে চূড়ান্ত পদক্ষেপ। আর আজ সকালে জয় করেন শিখর।

ফরহান জামান বলেন, “এই অর্জন বাংলাদেশের পর্বতারোহণ ইতিহাসে এক অনন্য সংযোজন। বাবরের দৃঢ় মনোবল ও পরিশ্রমই তাকে এই সাফল্যে পৌঁছাতে সাহায্য করেছে।”

অভিযান শেষে আজ বাবর আলী ক্যাম্প–২–এ ফেরার চেষ্টা করবেন এবং ৮ এপ্রিল পৌঁছাতে পারেন বেজক্যাম্পে।

এই অভিযানের পৃষ্ঠপোষক ছিল ভিজ্যুয়াল নিটওয়্যার্স লিমিটেড, ভিজ্যুয়াল ইকোস্টাইলওয়্যার লিমিটেড, এডিএফ অ্যাগ্রো, ফ্লাইট এক্সপার্ট, এভারেস্ট ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড এবং ব্লু জে।

এমবি//