মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবার মৃত্যুদণ্ড, ২ লাখ টাকা জরিমানা
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৩:২৭ পিএম, ১৬ এপ্রিল ২০২৫ বুধবার

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় নিজের কিশোরী মেয়েকে (১৫) ধর্ষণের দায়ে বাবা আলতাপ হোসেনকে (৪৬) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিত আলতাপ সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার বুড়ি গোয়ালিনী ইউনিয়নের দাতিনাখালী গ্রামের বাসিন্দা। বিয়ের পর ২০০৮ সাল থেকে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা হুদাপাড়া গ্রামে বসবাস করে আসছিলেন।
চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (স্পেশাল পিপি) এম এম শাহজাহান মুকুল বলেন, কিশোরী ধর্ষণ মামলায় পিতা আলতাপ হোসেনকে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড এবং ২ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ হয়েছে। জরিমানার আদেশ তার জীবদ্দশায় অথবা মৃত্যুর পরবর্তী পর্যায়ে প্রথম দায়দেনা হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। আদালত এটা রায়ে উল্লেখ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, সর্বোপরি সাক্ষী শুরু থেকে মাত্র ৪৫ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ শাস্তি বিধান করতে সক্ষম হয়েছি। সমাজে এ ধরণের ঘৃণিত অপরাধ আর যেনো সংগঠিত না হয় এটা আমরা আশা করছি।
২০২৪ সালের ৭ মার্চ ভুক্তভোগী কিশোরীর মা বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত ২০২০)-এর ৯(১) ধারায় মামলা করেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণী থেকে জানা যায়, ২০২৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নে তার বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের কয়েকদিন পর স্বামীর বাড়িতে অবস্থানকালে পেটে ব্যথা ও বমি বমি ভাব অনুভূত হলে প্রেগনেন্সি পরীক্ষার মাধ্যমে ২/৩ মাসের অন্তসত্ত্বার বিষয়টি জানাজানি হয়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী জানায়, ২০২৩ সালের ৫ ডিসেম্বর তার মা বোনের বাড়িতে গেলে ওইদিন রাতে বাবা বসত ঘরে একা পেয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং পরবর্তীতে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে ২/৩ মাসে আরও ৭/৮ বার ধর্ষণ করে।
তদন্ত শেষে আলমডাঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. বাবর আলী গত বছরের ১১ ডিসেম্বর অভিযুক্ত বাবার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
এএইচ