রাষ্ট্রের সাংবিধানিক নাম পরিবর্তনের বিষয়ে দ্বিমত বিএনপি
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৭:০৩ পিএম, ২০ এপ্রিল ২০২৫ রবিবার

জাতীয় সংসদের এলডি হলে অনুষ্ঠিত ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে রাষ্ট্রের সাংবিধানিক নাম পরিবর্তনের বিষয়ে দ্বিমত জানিয়েছে বিএনপি। রোববার (২০ এপ্রিল) বৈঠকের বিরতিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ।
তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রের মূলনীতিতে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচার বিষয়ে বিএনপির কোনও আপত্তি নেই। সংবিধানে বহুত্ববাদ যুক্ত করা নিয়েও ঐকমত্যে পৌঁছেছে দলটি। তবে রাষ্ট্রের নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব বিএনপি গ্রহণ করছে না।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘বেশকিছু বিষয়ে দ্বিমত থাকলেও অনেক ইস্যুতে ঐকমত্যের কাছাকাছি এসেছি। আমরা বাকশাল বা একদলীয় নীতি বিশ্বাস করি না। বিএনপি কাউকে নিজেদের মত মানতে বাধ্য করে না।’
সংবিধানের ৫ম সংশোধনীর বিষয়ে বিএনপির সমর্থনের কথা জানিয়ে সালাহ উদ্দিন বলেন, ‘আমরা ৫ম সংশোধনী চাই। পাশাপাশি ইন্টারনেটকে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে একমত হয়েছি।’
নারীদের রাজনৈতিক অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে বিএনপি নেতারা বলেন, সংসদে নারীদের আসন সংখ্যা ১০০-তে উন্নীত করার প্রস্তাবকে বিএনপি সমর্থন জানাচ্ছে। তবে তা বাস্তবায়ন হবে ত্রয়োদশ সংসদ থেকে। এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে।
নজরুল ইসলাম খান আরও বলেন, ‘সরকারপ্রধান ও পার্টি প্রধান একই ব্যক্তি হবেন কি না, সে সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক দলের ওপর ছেড়ে দেওয়া উচিত। আমরা মনে করি, এ বিষয়ে কমিশনের প্রস্তাব বিএনপির অবস্থানের সঙ্গে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।’
প্রার্থী হওয়ার ন্যূনতম বয়সসীমা ২১ বছর করার প্রস্তাবেও বিএনপির আপত্তি রয়েছে বলে জানান সালাহ উদ্দিন আহমদ।
লিডার অব দ্য হাউস কে হবেন, তা রাজনৈতিক দলগুলো ঠিক করবে বলে মত দিয়েছে বিএনপি। উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষ নিয়ে দলের সম্মতি থাকলেও কোন প্রক্রিয়ায় তারা নির্বাচিত হবে তা নিয়ে আলোচনা চলমান আছে বলেও জানান তারা।
রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা সীমাবদ্ধ করতে নতুন আইন প্রণয়নের পক্ষে বিএনপি মত দিয়েছে বলে জানান সালাহ উদ্দিন। তবে এনসিসি কাঠামোতে দ্বিমত রয়েছে দলের। তিনি বলেন, ‘এভাবে হলে প্রধানমন্ত্রীর হাতে রাষ্ট্র পরিচালনা কঠিন হয়ে পড়বে।’
নির্বাচনকালীন সরকার প্রসঙ্গে বিএনপি নেতা বলেন, ‘দেশে কেয়ারটেকার সরকার ছাড়া ফ্রি ও ফেয়ার নির্বাচন সম্ভব নয়। আমরা “ডকট্রিন অব নেসেসিটি”-র প্রয়োগের পক্ষে। দেশের বাস্তবতায় নির্বাচনকালীন কেয়ারটেকার সরকারের বিকল্প নেই।’
এসএস//