২০০ গুমের ঘটনায় জড়িত শেখ হাসিনা ও জিয়াউল: তাজুল ইসলাম
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৭:৩৩ পিএম, ২০ এপ্রিল ২০২৫ রবিবার

প্রায় ২০০টি গুমের সঙ্গে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও র্যাবের অতিরিক্ত ডিজি জিয়াউল আহসানের জড়িত থাকার "স্পষ্ট প্রমাণ" পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম।
রবিবার (২০ এপ্রিল) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলার সর্বশেষ অগ্রগতি জানাতে গিয়ে তিনি এই তথ্য জানান। এদিন ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয় সাবেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সাবেক বিচারপতি, সচিব, পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ মোট ১৯ জনকে।
ট্রাইব্যুনাল আগামী ২০ জুলাইয়ের মধ্যে তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, “মামলার তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গণহত্যা, পরিকল্পিত সহিংসতা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিপুল তথ্য-উপাত্ত আমাদের হাতে এসেছে।"
তিনি আরও জানান, তদন্তে পাওয়া সাক্ষ্য ও আলামত থেকে পরিষ্কার যে অভিযুক্তরা রাষ্ট্রীয় শক্তি ও বাহিনী ব্যবহার করে জনগণের বিরুদ্ধে সহিংসতা চালিয়েছেন। এসব ঘটনায় বিচার বহির্ভূত হত্যা, গুম, হেফাজতে নির্যাতন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বহু নজির উঠে এসেছে।
তাজুল ইসলাম বলেন, “ভিকটিম ও প্রত্যক্ষদর্শীদের জবানবন্দি নেওয়ার পাশাপাশি আমরা ভিডিও ফুটেজ, ড্রোন ফুটেজ ও কল রেকর্ডসহ বিভিন্ন ডিজিটাল আলামত সংগ্রহ করেছি।”
তিনি জানান, তদন্ত শেষে সব তথ্য পর্যালোচনা করে প্রসিকিউশন চূড়ান্ত অভিযোগপত্র প্রস্তুত করবে। এরপর অভিযোগ গঠন, শুনানি এবং বিচারিক কার্যক্রম শুরু হবে।
ট্রাইব্যুনাল সূত্র বলছে, এই মামলায় ২০১০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত সংঘটিত গুম, অপহরণ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো মূলত বিশ্লেষণাধীন রয়েছে। এসব অপরাধের দায় তৎকালীন সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃত্ব এবং নিরাপত্তা বাহিনীর কিছু প্রভাবশালী কর্মকর্তার ওপর বর্তায় বলে তদন্তে উঠে এসেছে।