উত্তেজনার মধ্যে মিসাইল ধ্বংসের পরীক্ষা চালাল ভারত
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৪:৩৩ পিএম, ২৪ এপ্রিল ২০২৫ বৃহস্পতিবার

কাশ্মিরের পেহেলগামে ২৬ জনকে গুলি করে হত্যার ঘটনার পর ফের চরম উত্তেজনায় ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক। এই হামলার জন্য পাকিস্তানকে পরোক্ষভাবে দায়ী করে নয়াদিল্লি কড়া কূটনৈতিক অবস্থান নিয়েছে। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) ভারতীয় নৌবাহিনী সফলভাবে একটি মিসাইল ধ্বংসের পরীক্ষা চালিয়েছে।
ভারতীয় নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে এক্স (সাবেক টুইটার)-এ এক পোস্টে জানানো হয়, তাদের নিজস্ব প্রযুক্তিতে নির্মিত আইএনএস সুরাত জাহাজ থেকে সমুদ্রে একটি দ্রুতগতির, নিচ দিয়ে উড়ে আসা মিসাইল সফলভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। নৌবাহিনীর ভাষায়, এটি ভারতের প্রতিরক্ষা সক্ষমতায় একটি “মাইলস্টোন”।
এদিকে ভারতের বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড জানিয়েছে, পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানের নৌবাহিনীও করাচির উপকূলে তাদের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে ২৪ থেকে ২৬ এপ্রিলের মধ্যে সারফেস টু সারফেস মিসাইল পরীক্ষার পরিকল্পনা করেছে।
কাশ্মিরে হামলার ঘটনার জেরে নয়াদিল্লি বুধবার একের পর এক কড়া সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে। এর মধ্যে রয়েছে পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু নদ চুক্তি স্থগিত, পাকিস্তানিদের জন্য বিশেষ ভিসা সুবিধা বাতিল এবং ভারতে অবস্থিত পাকিস্তান দূতাবাস থেকে দেশটির সামরিক উপদেষ্টাদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা। পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে প্রধান সীমান্ত ক্রসিং বন্ধেরও সিদ্ধান্ত নেয় ভারত।
ভারতের এসব পদক্ষেপকে “শিশুসুলভ” বলে উল্লেখ করে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে পাকিস্তান। দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার এক বেসরকারি টেলিভিশনকে বলেন, “ভারতের ঘোষণাগুলো গুরুত্বহীন এবং প্রতিক্রিয়াশীল। তারা সবসময়ই পাকিস্তানকে দোষারোপ করে।” তিনি আরও বলেন, “আমরা জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির জরুরি বৈঠকে বসছি। সেখানে ভারতকে যোগ্য জবাব দেওয়া হবে, এই জবাব কোনোভাবেই হালকা হবে না।”
সিন্ধু পানি চুক্তি প্রসঙ্গে ইসহাক দার বলেন, “ভারতের সঙ্গে এই বিষয়ে আমাদের দীর্ঘদিনের মতপার্থক্য রয়েছে। যদি ভারতের কাছে কোনো প্রমাণ থাকে, তাহলে তা প্রকাশ করা উচিত।”
এসএস//