ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪,   আশ্বিন ৪ ১৪৩১

বন্যায় মৌলভীবাজারে ২০০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা

প্রকাশিত : ১২:১৪ পিএম, ৩ জুলাই ২০১৭ সোমবার | আপডেট: ১২:৩৫ পিএম, ৩ জুলাই ২০১৭ সোমবার

ছবি: মৌলভীবাজারে বন্যার চিত্র।

ছবি: মৌলভীবাজারে বন্যার চিত্র।

মৌলভীবাজারে বন্যায় রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ি তলিয়ে যাওয়ায় জেলার প্রায় ২০০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বন্যাকবলিত মানুষদের জন্য খোলা হয়েছে ২৯টি আশ্রয়কেন্দ্র।

গত দুই দিন উজানে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় কুলাউড়া, জুড়ী ও বড়লেখা উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। এখনো জেলা সদরের সঙ্গে বড়লেখা উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

নতুন করে রাজনগর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়ন, সদর উপজেলার আখাইলকুড়া, নাজিরাবাদ ও গিয়াসনগর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব এলাকার রাস্তাঘাটসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বন্যার পানি উঠেছে।

রমজান ও ঈদের টানা ছুটির পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললেও শিক্ষার্থীরা যেতে পারেনি।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল আলিম গণমাধ্যমকে বলেন, জেলায় মোট ১৪২টি প্রাথমিক স্কুল বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। তাই এসব স্কুল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল ওয়াদুদ বলেন, জেলার হাওর এলাকার মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে। পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় জেলায় ৪২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ করা হয়েছে। পানি কমলে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষা কার্যক্রম আবার চালু হবে।

মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা জানান, কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, হাকালুকি হাওরের পানি ভাটির দিকে প্রবাহিত হতে পারছে না। এতে উজানে বন্যার সৃষ্টি হচ্ছে। মার্চ ও এপ্রিলের বন্যার পর জেলায় এটি তৃতীয় দফায় দীর্ঘস্থায়ী বন্যা।

জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. তোফায়েল ইসলাম জানান, জেলায় সর্বশেষ ২৯৪ মেট্রিকটন জিআর চাল, নগদ ১০ লাখ টাকা ও ৫৯ হাজার ২০০ ভিজিএফ কার্ডধারীদের ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে। সবমিলিয়ে তিন ধাপে ৬৫০ মেট্রিকটন চাল, ৩০ লাখ ৮০ হাজার টাকা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া তিন মাসের জন্য পাঁচ হাজার ভিজিএফ কার্ডধারীকে প্রতিমাসে ৩০ কেজি করে চাল ও ৫০০ টাকা করে দেওয়া হচ্ছে।