ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪,   আশ্বিন ১ ১৪৩১

জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে ট্রাম্পের অবস্থান পৃথিবীকে ধ্বংস করবে

প্রকাশিত : ১২:২১ পিএম, ৪ জুলাই ২০১৭ মঙ্গলবার | আপডেট: ০২:২৮ পিএম, ৪ জুলাই ২০১৭ মঙ্গলবার

ছবি : স্টিফেন হকিং

ছবি : স্টিফেন হকিং

জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবস্থান পৃথিবীর ক্ষতি করবে বলে মনে করেন বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং। তিনি বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত প্যারিস চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্টের নাম প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত পৃথিবীকে ধ্বংসের কাছে নিয়ে যেতে পারে। জলবায়ুর পরিবর্তন এমনভাবে ঘটতে পারে যে পরিস্থিতি হবে অপরিবর্তনীয়।

ট্রাম্পের এমন সিদ্ধান্ত পৃথিবীকে উত্তপ্ত গ্রহে পরিণত করবে বলে সতর্কও করে দিয়েছেন স্টিফেন হকিং। এই পদার্থবিদের ৭৫ তম জন্মদিন পালন উপলক্ষে ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিবিসির সঙ্গে আলাপ করেন হকিং। সেখানে তিনি বলেন, মানবজাতির বেঁচে থাকার সবচেয়ে ভালো উপায় হতে পারে মহাকাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে স্বাধীনভাবে উপনিবেশ স্থাপন।

হকিং বলেন, আমরা বৈশ্বিক উষ্ণতার এমন এক পর্যায়ে আছি যা আরেকটু বেশি হলে সেখান থেকে ফিরে আসা সম্ভব নয়। ট্রাম্পের এমন ধ্বংসাত্মক সিদ্ধান্ত পৃথিবীকে আরেকটি ভেনাসের রূপান্তরিত করতে পারে, যেখানে থাকবে দুইশো পঞ্চাশ ডিগ্রি তাপমাত্রা এবং সালফিউরিক এসিডের বৃষ্টিপাত।

জলবায়ু পরিবর্তনকে তিনি পৃথিবীতে বিদ্যমান `সবচেয়ে বড় বিপদ` বলেও উল্লেখ করেন। এ থেকে পরিত্রাণের জন্য তিনি কিছু পদক্ষেপ নেয়ার কথাও বলেন।

হকিং বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন আমাদের বড় বিপদগুলোর মধ্যে একটি এবং এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নিলে আমরা ক্ষতি রোধ করতে পারি। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রমাণ অস্বীকার করে এবং প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে বের হয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প পরিবেশের ক্ষতি সাধনের মাধ্যমে আমাদের ও ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য সুন্দর পৃথিবীটাকে বিপজ্জনক করে তুলেছেন।

এদিকে জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক আলোচকদের প্যানেল আইপিসিসিতে পৃথিবীতে তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার ও এর সম্ভাব্য ঝুঁকি গুরুত্বের তুলে ধরা হয়েছে।

পরিবেশগত সমস্যা ও মানব সংঘাতের সমস্যার সমাধান করার সক্ষমতা অর্জন সম্ভব কিনা- এমন প্রশ্নের উত্তরে স্টিফেন হকিং বলেন- পৃথিবীতে আমাদের দিন হিসেবের। আমার মনে হয় বিবর্তন মানুষের মনের লোভ ও সহিংসতা জাগিয়ে তুলছে। মানব সংঘাত কমার কোনো লক্ষণ নে। যুদ্ধক্ষেত্রে প্রযুক্তির বিকাশ এবং মারাত্মক অস্ত্রগুলো মানুষের জন্য ধ্বংসাত্মক হতে পারে যেকোনো সময়। মানবজাতির বেঁচে থাকার সবচেয়ে ভালো উপায় হতে পারে মহাকাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে স্বাধীনভাবে উপনিবেশ স্থাপন।

//এআর