কোচিংয়ে জড়িত শিক্ষকদের তালিকা তৈরির নির্দেশ
প্রকাশিত : ১২:০৭ পিএম, ৫ জুলাই ২০১৭ বুধবার | আপডেট: ০৯:০৬ এএম, ৬ জুলাই ২০১৭ বৃহস্পতিবার
ছবি: শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের লোগো।
যেসব শিক্ষকরা কোচিং সেন্টারের কোচিং করান বা প্রাইভেট পড়ান তাদের তালিকা তৈরি করার জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সেই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে স্থায়ী কোচিং সেন্টারের ঠিকানা, মালিক এবং পরিচালকের তথ্য সংগ্রহ করে মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়ার জন্যও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রণালয় থেকে প্রাইভেট কোচিং বন্ধে নীতিমালা জারির পর তা তোয়াক্কা না করে কিছু শিক্ষক প্রাইভেট টিউশনিতে জড়িত রয়েছেন এমন সুনির্দিষ্ট তথ্য রয়েছে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে।
একই সঙ্গে জেলা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের কাজের পরিধি তাদের নিয়োগ ইত্যাদি বিষয়েও ১০ জুলাইয়ের মধ্যে মন্ত্রীর কাছে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের শিক্ষা প্রশাসনের নানা বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে অনানুষ্ঠানিক নোটে এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়। মন্ত্রীর এ নোট প্রকাশের পর মাঠ পর্যায়ের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
মন্ত্রীর নোটে বলা হয়েছে, শিক্ষা সংশ্লিষ্ট ১৫টি দপ্তরকে কার্যকর ও পরিবর্তন করতে হবে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) পুনর্গঠন ও কার্যকর করা জরুরি। জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমিকে (নায়েম) নতুন পরিস্থিতির দাবি পূরণের উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে। বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষকে (এনটিআরসিএ) কার্যকর করতে হবে। পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরে (ডিআইএ) পরিবর্তন আনা জরুরি। মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের উন্নয়ন প্রয়োজন। ১০ শিক্ষা বোর্ডের সার্বিক পর্যালোচনা করে কার্যক্রম উন্নত করতে হবে।
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের (ইইডি) প্রধান প্রকৌশলী দেওয়ান মোহাম্মদ হানজালা ও তাঁর টিম তাদের প্রকল্প বাস্তবায়নে নির্ধারিত অর্থ ব্যয়ের পর বিশেষ উদ্যোগে আরো ১০০ কোটি টাকার বাড়তি কাজ করার কারণে মন্ত্রী তার নোটে তাদেরকে অভিনন্দনও জানান।