জনপ্রিয় অভিনেত্রী দিতি আর নেই
প্রকাশিত : ০৭:১৯ পিএম, ২০ মার্চ ২০১৬ রবিবার | আপডেট: ০৭:১৯ পিএম, ২০ মার্চ ২০১৬ রবিবার
বাংলা চলচ্চিত্রের এক সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী দিতি আর নেই। মৃত্যুর সাথে লড়াই করে অবশেষে চলে গেলেন তিনি। মস্তিস্কে ক্যান্সার ধরা পরার পর চেন্নাইয়ের মাদ্রাজ ইনস্টিটিউট অব অর্থোপেডিকস অ্যান্ড ট্রমাটোলজিতে চিকিৎসা করতেন। পরে অসুস্থতা নিয়েই দেশে ফিরে আসেন তিনি। ১৯৮৪ সালে নতুন মুখের সন্ধানের মাধ্যমে তার চলচ্চিত্রে আগমন। পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।
পারভীন সুলতানা দিতি। ভক্তরা যাকে চেনেন দিতি নামে। নব্বইয়ের দশকে বাংলা চলচ্চিত্রে সাড়া জাগানো নায়িকা ছিলেন তিনি। সে সময় অল্প যে কজন নায়িকা ব্যবসা সফল চলচ্চিত্র উপহার দিয়েছেন দিতি তাদের অন্যতম। মিষ্টি চেহারার অনিন্দ্যসুন্দর দিতি তার চমৎকার অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে এসেই ঝড় তোলেন। মন জয় করে নেন হাজারো তরুনের।
তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ‘ডাক দিয়ে যাই’। কিন্তু ছবিটি শেষ পর্যন্ত মুক্তি পায়নি। তার অভিনীত মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম চলচ্চিত্র ‘আমিই ওস্তাদ’। দিতির অনবদ্য অভিনয় দর্শকদের বেশ নজর কাড়ায় আর পেছনে তাকাতে হয়নি তাকে।
এরপর দর্শকদের বহু জনপ্রিয় চলচ্চিত্র উপহার দিয়ে গেছেন ঢাকার সিনেমার সোনালি যুগের এ নায়িকা। ২৮ বছরে হীরামন, দুই জীবন, নয় নম্বর বিপদ সংকেত, উছিলা, শেষ উপহারসহ প্রায় দুই শ ছবিতে কাজ করেছেন। সুভাষ দত্ত পরিচালিত ‘স্বামী স্ত্রী’ ছবিতে অভিনয় করে পান জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার
চলচ্চিত্রে অভিনয়ের শীর্ষে থাকা অবস্থায় ব্যক্তিগত কারণে হঠাৎ দেশ ছেড়ে চলে যান তিনি। পরে ফিরে এলেও চলচ্চিত্রে আর নিয়মিত হননি। বরং অভিনয়ের গণ্ডি অতিক্রম করে কাজ করেছেন নাটকে, পরিচালনায়, সঙ্গীত আর বিজ্ঞাপনের মডেলিং-এ। ছেলে সাফায়েত ও মেয়ে লামিয়াকে নিয়ে ছিল তার ছোট্ট সংসার।
১৯৬৫ সালে ৩১শে মার্চ নারায়ণগঞ্জে জন্ম নেন গুনী এই শিল্পী। মস্তিস্কে টিউমারে আক্রান্ত এই শিল্পীর শেষ চাওয়া ছিল দেশের মাটিতে ফিরে আসা। শিল্পীদের মৃত্যু নেই। বাংলা চলচ্চিত্রের সোনালী যুগের এই শিল্পীকে যুগ যুগ মনে রাখবে চলচ্চিত্রপ্রেমী আর দর্শকরা।