ভারতে আরও ২১ পণ্য রপ্তানির সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশ
প্রকাশিত : ০৫:২০ পিএম, ৮ জুলাই ২০১৭ শনিবার | আপডেট: ০৯:৪১ পিএম, ৮ জুলাই ২০১৭ শনিবার
দুই দেশের বিদ্যমান অর্থনৈতিক সম্পর্কের উন্নয়নে আরও ২১টি প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য ভারতে রপ্তানির সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রীংলা শনিবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে আয়োজিত এক সম্মেলনে এসব কথা জানান।
ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স আয়োজিত ‘কৃষি, হর্টিকালচার ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্যশিল্পখাতের ওপর এ ব্যবসায়িক সম্মেলনে ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি তাসকিন আহমেদ, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদসহ দুই দেশের ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় ভারত-বাংলাদেশের দুই দিনব্যাপী ক্রেতা-বিক্রেতা মিলনমেলার উদ্বোধন করেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।
অনুষ্ঠানে হর্ষবর্ধন শ্রীংলা বলেন, সাধারণত আন্তর্জাতিক কোনো প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি না থাকলে খাদ্যপণ্য আমদানি করে না ভারত। কিন্তু বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক সুসস্পর্ক থাকায় সরাসরি ভারতে ২১টি খাদ্যপণ্য রপ্তানির সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমাদের পাশে থাকা পরীক্ষিত বন্ধু ভারত। সে দেশের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে যৌথ বিনিয়োগে এগিয়ে আসলে আমরা সব ধরনের সহায়তা দেব। বাংলাদেশি উদ্যোক্তারাও ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে যৌথ বিনিয়োগ করতে পারেন। এক্ষেত্রেও আমাদের সরকার উদার নীতি গ্রহণ করবে।
আমির হোসেন আমু বলেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের বিশাল সুযোগ রয়েছে। এই অঞ্চলে বাংলাদেশি খাদ্য পণ্য, কৃষিভিত্তিক পণ্য, মাছ, মেলামাইন, সিরামিক, প্রসাধনী ও কসমেটিক্স এবং সিআই শিট, হালকা প্রকৌশল পণ্য ইট, সিমেন্ট, প্রক্রিয়াজাত খাবার ইত্যাদির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এছাড়া সবজি, মশলা, ফল-মূল ইত্যাদি রপ্তানির অপার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, প্রক্রিতাজাত খাদ্যপণ্যের রপ্তানিতে ভারত সুযোগ দিচ্ছে। ভারতীয় বিনিয়োগকারীরাও চাইলে এই খাতে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে পারে। সে ক্ষেত্রে উভয় দেশ উপকৃত হবে।
আরকে/ডব্লিউএন