রিয়াজ-মিশাকে বয়কটের সিদ্ধান্ত
প্রকাশিত : ০৯:৩৫ পিএম, ১১ জুলাই ২০১৭ মঙ্গলবার | আপডেট: ১০:০০ এএম, ১৩ জুলাই ২০১৭ বৃহস্পতিবার
যৌথ প্রয়োজনার দুই ছবি প্রচার নিয়ে দুই পক্ষের দ্বিমতের জেরে শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর ও সহসভাপতি রিয়াজ উদ্দিন আহমেদকে বয়কটের ঘোষণা দিয়েছে প্রদর্শক সমিতি। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে সমিতির পক্ষ থেকে নেওয়া এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
সম্মেলনে এই দুই অভিনেতার সঙ্গে প্রযোজক ও প্রেক্ষাগৃহ মালিক খোরশেদ আলম খসরুকেও বয়কটের সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্র নিয়ে পাল্টাপাল্টি অবস্থানের মধ্যে শিল্পী সমিতির নির্বাচন হয়। এরপর ঈদুল ফিতরে যৌথ প্রয়োজনার দুই চলচ্চিত্র ‘বস টু’ ও ‘নবাব’ মুক্তি দেওয়ার জের ধরে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হতে হয় মধুমিতা প্রেক্ষাগৃহের মালিক ও চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সভাপতি ইফতেখার উদ্দিন নওশাদকে। সেদিনের হামলার ঘটনায় ‘যথাযথ বিচার’ না পেয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান প্রদর্শক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাজী শোয়েব রশিদ।
তিনি বলেন, “রিয়াজ ও মিশা সওদাগর অভিনীত কোনো চলচ্চিত্র সিনেমা হলে প্রদর্শিত হবে না। একইভাবে খোরশেদ আলম খসরু প্রযোজিত কোনো চলচ্চিত্রও প্রদর্শিত হবে না কোনো প্রেক্ষাগৃহে।”
এ বিষয়ে প্রদর্শক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা সুদীপ্ত দাশ বলেন, “যৌথ প্রযোজনার ছবি কীভাবে হবে বা কোন নীতিমালায় হবে, সেটা দেখার দায়িত্ব আমাদের নয়। এ বিষয়ে এফডিসির প্রিভিউ কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে। আমাদের কাজ হচ্ছে শুধু চলচ্চিত্র প্রদর্শন।”
তবে এ বিষয়ে রিয়াজ, মিশা সওদাগর ও খসরুর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
সম্মেলনে সমিতির নেতারা হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধনের পাশাপাশি তথ্যমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার পর তথ্য সচিব, আইন সচিব ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছিলেন বলে জানান।
কাজী শোয়েব বলেন, “নওশাদ সাহেবকে তারা তখন মামলা না করতে অনুরোধ করেন। কিন্তু আইনি কোনো অগ্রগতি না দেখে ক্ষুব্ধ হন চলচ্চিত্র পরিবেশকরা। “পুলিশের সামনেই ওই হামলার ঘটনা ঘটলেও এ বিষয়ে সরকারি কর্তাব্যক্তিরা আশ্চর্যজনকভাবে নীরব ভূমিকা পালন করেছে। শুধু তথ্যমন্ত্রী নিন্দা জানিয়েছিলেন।”
আরকে/ডব্লিউএন