ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

সমস্যা সামাধানে ফের কাতার যাচ্ছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত : ০৯:২৯ এএম, ১৩ জুলাই ২০১৭ বৃহস্পতিবার

ছবি: সৌদি মিত্রদের সঙ্গে বুধবার বৈঠক করছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন।

ছবি: সৌদি মিত্রদের সঙ্গে বুধবার বৈঠক করছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন।

কাতার সমস্যার কূটনৈতিক সমাধান খুঁজে বের করতে সৌদি আরব ও তার মিত্রদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসনের বৈঠক কোনো ধরনের সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়েছে। বুধবার সৌদি আরবের জেদ্দায় সৌদি মিত্রদের সঙ্গে টিলারসনের এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিশর ও বাহরাইন মিলে তাদের প্রতিবেশী দেশ কাতারকে যেসব নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে এর একটা যথার্থ সমাধান খুঁজতে নানামুখী প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এখন মধ্যপ্রাচ্য সফরে রয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন।

উপসাগরীয় অঞ্চলের মন্ত্রীদের সঙ্গে রেক্স টিলারসনের বৈঠক কোনও ফলাফল ছাড়াই শেষ হওয়ার পর বৃহস্পতিবার আবারো কাতারে সফরে যাবেন তিনি।

কাতারের ওপর সৌদি আরব ও তার মিত্রদের নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর সৃষ্ট পরিস্থিতি অবসানের উপায় খুঁজে বের করাই টিলারসনের মূল লক্ষ্য।

জঙ্গিবাদে অর্থ সরবরাহ বন্ধ করার বিষয়ে এরই মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও কাতার।

কিন্তু সৌদি আরব ও তার মিত্র-দেশগুলো বলছে, যুক্তরাষ্ট্র ও কাতারের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হলেও কাতারে উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তারা রাখবেন। কারণ তারা কাতারের ওপর বিশ্বাস বা আস্থা রাখতে পারছেন না।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের মন্ত্রী নোরা আল কাবি বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তারা এই চুক্তিটিকে খুব একটা বিশ্বাসযোগ্য মনে করছে না।

তিনি বলেন, "দুর্ভাগ্যজনকভাবে ২০১৩ ও ২০১৪ সালে কাতার দুবার চুক্তি করে এবং সম্পূরক আরও একটি চুক্তি হয় যেখানে সন্ত্রাসবাদ ও উগ্রবাদকে ঠেকানোর লড়াইয়ের ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সবই ছিল মিথ্যে প্রতিশ্রুতি। কার্যত কিছুই তারা করেনি। তাই আমরা তাদের প্রতি বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছি"।

তবে এই চুক্তিকে ইতিবাচকই মনে হচ্ছে বলে জানান তিনি। কিন্তু তা কিভাবে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে, তার ওপরই নির্ভর করে সবকিছু।

তবে, যুক্তরাষ্ট্র ও কাতারের মধ্যে স্বাক্ষর হওয়া এই সমঝোতা স্মারক অনুসারে কাতারের কর্তৃপক্ষকে সামনের দিনগুলোতে বেশকিছু কাজ ধারাবাহিকভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।

সন্ত্রাসবাদে সমর্থন ও অর্থায়নের অভিযোগ থাকলেও কাতার হামাস বা ইসলামিক স্টেটকে কোন ধরনের সহযোগিতার বিষয়টি শুরু থেকেই অস্বীকার করে আসছে।

 

সূত্র: বিবিসি।