ঢাবির শিক্ষককে বাধ্যতামূলক ছুটি
প্রকাশিত : ১০:৫৯ এএম, ১৩ জুলাই ২০১৭ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৫:৪৮ পিএম, ১৪ জুলাই ২০১৭ শুক্রবার
ছবি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগের একাডেমিক কমিটির শিক্ষকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তাকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠনো হয়েছে। সেই সঙ্গে এই শিক্ষকসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের আর দুইজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে আলাদা তিনটি তদন্ত কমিটি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বুধবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়।
বাধ্যতামূলক ছুটি পাওয়া শিক্ষক হলেন অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. রুশাদ ফরিদী। তার বিরুদ্ধে বিভাগের একাডেমিক কমিটির শিক্ষকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে।
এ ছাড়া পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগের অধ্যাপক বিল্লাল হোসাইনের পিএইচডি শেষ না হওয়ার কারণ অনুসন্ধানে একটি তদন্ত মকমিটি গঠন করা হয়। হায়ার এডুকেশন কোয়ালিটি এনহ্যান্সমেন্ট প্রজেক্ট (হেকেপ) বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এক চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক ড. আবু সারা শামসুর রউফের বিষয়েও পৃথক একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
একজন সিন্ডিকেট সদস্য অভিযোগ করে বলেন, মূলত বিদ্রোহী প্যানেলে থাকার কারণেই এসব তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।
বিল্লাল হোসাইন বলেন, ‘আমি পদোন্নতির জন্য পিএইডি ডিগ্রি ব্যবহার করিনি। আর এখনো আমার পিএইচডি শেষ করতে আট মাস সময় আছে।’ তিনি অভিযোগ করেন, ‘এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ রাজনৈতিক। সিনেট নির্বাচনে আমাদের উপাচার্য বিরোধী অবস্থানের কারণে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
বিল্লাল হোসাইন ও শামসুর রউফ গত সিনেট নির্বাচনে নীল দলের উপাচার্য বিরোধী প্যানেলের প্রার্থী ছিলেন।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় এসব অভিযোগ করা হচ্ছে। আবু সারা শামসুর রউফের বিরুদ্ধে দুদক অভিযোগ পাঠিয়েছে। আর ২০১২ সালে পিএইচডির থিসিস জমা দেওয়ার কথা থাকলেও এখনো শেষ না হওয়াতেই বিল্লাল হোসাইনের বিরুদ্ধে কমিটি হয়েছে।’