ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

চেক ডিসঅনার হলে কী করবেন

প্রকাশিত : ১১:০৫ এএম, ১৩ জুলাই ২০১৭ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৯:০৮ পিএম, ১৩ জুলাই ২০১৭ বৃহস্পতিবার

যদি কোনো ব্যক্তি অপর কোনো ব্যক্তিকে তাঁর পাওনা টাকা পরিশোধের জন্য চেক দেন, সে ক্ষেত্রে চেকের প্রাপককে চেকটি সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে ছয় মাসের মধ্যে জমা দিতে হবে। চেক উপস্থাপনের পর যদি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেন যে, সংশ্লিষ্ট হিসাব নম্বরে পর্যাপ্ত টাকা কিংবা চেকে উল্লেখিত পরিমাণ টাকা নেই, তখন চেকটি ডিসঅনার হবে। একে চেক বাউন্স করাও বলা হয়ে থাকে

চেকটি ডিসঅনার হলে চেক ইস্যুকারীর বিরুদ্ধে কোনো আইগত ব্যবস্থা নেয়া যাবে কিনা এ ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম বলেন, এ ক্ষেত্রে যিনি চেক ইস্যু করেছেন, সেই ব্যক্তি হস্তান্তরযোগ্য দলিল আইন, ১৮৮১-এর ১৩৮ ধারায় একটি অপরাধ সংঘটন করেছেন বলে গণ্য হবে।

এ জন্য তিনি ওই আইনের বিধান ক্ষুণ্ন ছাড়া এক বছর মেয়াদ পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা চেকের বর্ণিত অর্থের ৩ (তিন) গুণ পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

নজরুল ইসলাম বলেন, পাওনাদার ব্যক্তি চেক প্রদানকারীর বিরুদ্ধে হস্তান্তরযোগ্য দলিল আইন, ১৮৮১-এর ১৩৮ ধারায় মামলা করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে চেকটি ডিসঅনার সম্পর্কে জানার ৩০ দিনের মধ্যে চেকে বর্ণিত টাকা পরিশোধ করার জন্য চেক প্রদানকারীকে লিখিত নোটিশ দিতে হবে। নোটিশে প্রাপ্তিস্বীকার রসিদসহ রেজিস্টার্ড ডাকযোগে দিতে হবে।

এ আইনজীবী আরও জানান, নোটিশটি জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করতে হবে। চেক প্রদানকারী ওই নোটিশ পাওয়ার ৩০ দিন পর থেকে মামলার কারণ উদ্ভব হয়। মামলার কারণ উদ্ভবের এক মাসের মধ্যেই চেক ডিসঅনারের জন্য মামলা করতে হবে। আর চেক ডিসঅনারের অভিযোগ অবশ্যই লিখিত হতে হবে। আর অভিযোগ দায়ের করতে হবে প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কিংবা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে।

তিনি বলেন, ওই আইনের ১৩৮ ধারার উপধারা (১)-এ প্রদত্ত দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে। আপিল করার আগে ডিসঅনার চেকে উল্লেখিত টাকার শতকরা ৫০ ভাগ টাকা যে আদালত দণ্ড প্রদান করেছেন, সেই আদালতে জমা দিতে হবে।

আর//এআর//