গোপন ডিভাইসে কেন্দ্রে যাবে প্রশ্ন, সেখানেই প্রিন্ট
প্রকাশিত : ০৮:২৪ পিএম, ১৪ জুলাই ২০১৭ শুক্রবার | আপডেট: ০৮:৪১ পিএম, ১৬ জুলাই ২০১৭ রবিবার
অনেক পন্থা অবলম্বনের পরও প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে পারছিল না কর্তৃপক্ষ। ফলে প্রতি বছরই পাবলিক পরীক্ষাগুলোতে প্রশ্নফাঁসের খবরে সমালোচনার মুখে পড়ছেন শিক্ষামন্ত্রীসহ শিক্ষাবোর্ডের কর্মকর্তারা। তবে এবার প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে নতুন পদ্ধতি গ্রহণ করা হবে। গোপন ডিভাইসে কেন্দ্রে প্রশ্নপত্র পাঠিয়ে সেখানেই প্রিন্ট করা হবে।
প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে এমন পরিকল্পনাই করছে শিক্ষামন্ত্রণালয়ের গঠন করা উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি। সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দায়িত্বশীল সূত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, সিলেবাস অনুযায়ী তৈরি করা হবে প্রশ্ন ব্যাংক। স্বয়ংক্রিয়ভাবে তৈরি হবে প্রশ্নের একাধিক সেট। পরীক্ষার আগে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন প্রক্রিয়াটি হবে সম্পূর্ণ অটোমেশন পদ্ধতিতে। সর্বোচ্চ গোপনীয়তা রক্ষা করতে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে থেকে প্রশ্নপত্র প্রিন্ট করা হবে। কেন্দ্রে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ ব্যবস্থাসহ প্রযোজনীয় ডিভাইসের ব্যবস্থা করা সম্ভব হলে কেন্দ্রেই প্রশ্ন প্রিন্ট করা হবে। এছাড়া প্রণয়ন করার পর কেন্দ্রে প্রশ্নের সফটকপি যাবে গোপন ডিভাইসের মাধ্যমে এবং পাঠানোর পর প্রশ্ন প্রিন্ট হলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডিভাইসটি নষ্ট হয়ে যাবে।
প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে গত বুধবার (১২ জুলাই) সচিবালয়ে এক বৈঠকে এ বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করা হয়। ওই বৈঠকে এই কর্মপরিকল্পনা বিষয়ে আলোচনা ও প্রাথমিক সুপারিশ তুলে ধরা হয়। ওই বৈঠকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) এবং ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উচ্চ পর্যায়ের গঠিত এ কমিটির অন্যতম সদস্য ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. মাহবুবর রহমান।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতেই ভিন্ন ধরনের কর্মপদ্ধতি খুঁজে বের করা হচ্ছে। ওইসভায় এ বিষয়েই বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। সাব কমিটিগুলো আরও নির্দিষ্ট করে সুপারিশমালা প্রতিবেদন আকারে দিলে মূল কমিটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
ডব্লিউএন