ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ২০ ১৪৩১

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়

অনার্স পরীক্ষায় এককক্ষের সবাই ফেল!

প্রকাশিত : ০২:৫৩ পিএম, ১৫ জুলাই ২০১৭ শনিবার


জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্ত একটি কলেজ থেকে অনার্স পরীক্ষায় অংশ নিয়ে এক পরীক্ষা হলের একই বিষয়ের সব পরীক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছেন। শিক্ষার্থীরা ফল প্রত্যাখ্যান করে খাতা পূনর্মূল্যায়নের দাবি জানিয়েছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ইসলামপুর আলহাজ কাজী রফিকুল ইসলাম স্কুল অ্যান্ড কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগে এ ঘটনা ঘটেছে।

কলেজ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে অবগত করলেও এখনো এ ব্যাপারে কোনো ফয়সালা পাওয়া যায়নি। ফলে শিক্ষার্থীদের পুনরায় ফরম পূরণ করতে হয়েছে।      

ওই বিভাগের মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৭ জন। স্নাতক সম্মানের চূড়ান্ত পরীক্ষায় একইকক্ষে পরীক্ষা দেন ২৪ জন। তাঁদের সবাই ‘সামাজিক পরিবর্তন’ বিষয়ে ‘এফ গ্রেড’ পেয়েছেন অর্থাৎ ফেল করেছেন।

ফেল করা ‘ভুক্তভোগী’দের একজন তাসমিয়া রহমান সুপ্তি। সমাজবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন ২০১১-১২ সেশনে। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষে কোনো বিষয়েই ফেল করেননি। ২০১৫ সালের চতুর্থ অর্থাৎ চূড়ান্ত পরীক্ষা দেন। আশা করছিলেন, ভালভাবে পাশ করবেন। পরীক্ষার ফল বের হয় ২০১৭ সালের ১৪ মে। তখন জানতে পারেন অন্য সব বিষয়ে পাশ করলেও তিনি ‘সামাজিক পরিবর্তন’ বিষয়ে ফেল করেছেন।  

তিনি বলেন, ‘আমি সব বিষয়ে পরীক্ষা ভাল দিয়েছি। সামাজিক পরিবর্তন খুব কঠিন বিষয় নয়। এই বিষয়ে ফেল করাটা অনেকটা অস্বাভাবিক। আমি নিজেও ভাবতে পারছি না আমি কেন এই বিষয়ে ফেল করলাম। শুধু আমি না, এককক্ষে যারা ছিলাম সবাই ফেল করছি এই বিষয়েই।’ 

কলেজ কর্তৃপক্ষের পরামর্শে সুপ্তিও সবার মতোই ফলাফল নিরীক্ষণের জন্য আবেদন করেছেন। এক মাসের মধ্যে বিষয়টি ফয়সালা করার সাধারণ নিয়ম থাকলেও এখনো কোনো জবাব পাননি।

একই কক্ষের একই বিভাগের সব পরীক্ষার্থীর ফেল করার ব্যাপারে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বদরুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, বিষয়টি আসলে স্বাভাবিক বা অস্বাভাবিকের কিছু নয়। আমাদের যে সিস্টেম সে অনুযায়ী পরীক্ষার পর আমরা খাতাগুলো ভাগ করে দেই, তা বিভিন্ন কলেজের শিক্ষকরাই দেখেন। কাজেই তাঁদের ওপর আমারদের নির্ভর করতে হয় ফলাফলের জন্য। সে কারণে খাতায় যদি কেউ ফেল করে তাকে পাস করানোর সুযোগ আমার নাই। তাঁর পরও আমরা দেখব এমন কোনো অসঙ্গতি আছে কি না, এমন কিছু অভিযোগ আমাদের কাছেও এসেছে।’

//এআর