ইয়ারফোন ব্যবহারে প্রয়োজন সচেতনতা
প্রকাশিত : ০৪:৪৫ পিএম, ১৫ জুলাই ২০১৭ শনিবার
স্মার্টফোনে সহলভ্য হওয়ার পর থেকে রাস্তা-ঘাটে, বাসে-ট্রেনে এদিক ওদিক তাকালেই দেখা যায় কানে ইয়ারফোন গুঁজে গানে বুঁদ হয়ে থাকেন অনেকে। অনেককে মাথা দুলিয়ে গান শুনতে দেখা যায়। কেউবা সিনেমা দেখেন ইয়ারফোন লাগিয়ে। এ তালিকায় তরুণ-তরুণীরা এগিয়ে থাকলেও মাঝবয়সীরাও কম যান না। এ যেন নতুন কোনো ছোঁয়াচে রোগ। আশেপাশে কী ঘটছে হুঁশ নেই তাঁদের। পথে চলতে গান শুনে আনন্দ নিচ্ছেন ঠিকই, কিন্তু এর ক্ষতিরকারক দিকটা আমরা কখনও খেয়াল রাখি না। আসুন জেনে নিই ইয়ারফোন ব্যবহারের ক্ষতিকারক দিকগুলো।
দুর্ঘটনা
ইয়ারফোনের অতিরিক্ত ব্যবহারে দুর্ঘটনার মাত্রা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। উচ্চশব্দে গান শোনার ফলে আশপাশের আওয়াজ শুনতে না পাওয়ায় দুর্ঘটনা আরও বাড়ছে।
শোনার ক্ষমতা
ইয়ারফোনে লাগাতার গান শুনলে শোনার ক্ষমতা ৪০-৫০ ডেসিবেল কমে যায়। কানের পর্দা কাঁপে। দূরের আওয়াজ শুনতে অসুবিধা হয়।
কানে ব্যথা
আজকাল প্রায় ৬০ শতাংশ তরুণ-তরুণীর কানের সমস্যা দেখা দিচ্ছে হেডফোনের অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে। পাশাপাশি, কানে ব্যাথা, মাথা ধরার মতো উপসর্গও দেখা দিচ্ছে। যথটা সম্ভব ইয়ারফোন কম ব্যবহার করুন। যদি ঘণ্টার পর ঘণ্টা কানে ইয়ারফোন লাগিয়ে কাজ করতে হয়, তাহলে সেক্ষেত্রে ৫ মিনিট করে বিরতি নেওয়া দরকার।
ভালো কোয়ালিটির ইয়ারফোন ব্যবহার ক্ষতির মাত্রা অনেকটা কমায়। আর ইয়ারবাড হেডফোন ব্যবহার করা থেকে যতদূর সম্ভব দূরে থাকুন। পরিবর্তে ইয়ারফোন ব্যবহার করুন। কারণ ইয়ারফোন কানের বাইরে লাগাতে হয়। কিন্তু ইয়ারবাড কানের ফুটোতে ঢুকিয়ে গান শোনার ক্ষেত্রে ভাইব্রেশন অনেক বেশি হয় যা পর্দার ব্যাপক ক্ষতি করে।
উচ্চশব্দে গান শোনা
ফুল ভলিউমে গান চালিয়ে না শোনাই ভালো। এতে মানসিক সমস্যার পাশাপাশি হার্টের রোগ এবং ক্যানসারের প্রবণতা বাড়ে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কানের নানা রকম জটিল সমস্যাও দেখা দেয়।
আওয়াজের মাত্রা
সাধারণত আমাদের কান ৬৫ ডেসিবেল আওয়াজ সহ্য করার ক্ষমতা রাখে। কিন্তু ৯০ ডেসিবেল আওয়াজ যদি ৪০ ঘণ্টার বেশি কেউ শোনেন, তা হলে তার পুরোপুরি বধির হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
চিকিৎসকদের মতে, অতিরিক্ত ইয়ারফোন বা ইয়ারবাড ব্যবহারে কানের ভিতরে ছন ছন আওয়াজ, মাথা ঘোরানো, ঘুম না আসার মতো উপসর্গ দেখা দেয়। সূত্র : দ্য হেলথসাইট