সীতাকুণ্ডে আরও ৩৮ শিশু হাসপাতালে
প্রকাশিত : ০৮:২১ পিএম, ১৫ জুলাই ২০১৭ শনিবার | আপডেট: ১০:৪৩ পিএম, ১৫ জুলাই ২০১৭ শনিবার
অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার দুর্গম পাহাড়ি এলাকার ত্রিপুরা পাড়ার আরও ৩৮ শিশু গত তিন দিনে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
তবে চিকিৎসাধীন শিশুরা বিপদমুক্ত আছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন আজিজুর রহমান সিদ্দিকী।
অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হয়ে এর আগে গত ৮ থেকে ১২ জুলাই পর্যন্ত চার দিনে ত্রিপুরা পাড়ার নয় শিশুর মৃত্যু হয়। গায়ে জ্বর, ফুসকুড়ি, বমি ও পায়খানার সাথে রক্ত যাওয়াসহ নানা উপসর্গে দুই থেকে দশ বছর বয়সী শিশুরা এ অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।
এ বিষয়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হলে বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসে। পরে গত ১২ জুলাই দুপুর থেকে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের উদ্যোগে আক্রান্ত এলাকার ৪৬ শিশুকে ফৌজদারহাট বাংলাদেশ ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজ (বিআইটিআইডি) ও চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
পরদিন ১৩ জুলাই সরকারের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) প্রতিনিধি দল আক্রান্ত শিশুদের পর্যবেক্ষণ শেষে নয় শিশুর মৃত্যু মারাত্মক অপুষ্টিজনিত সংক্রমণের কারণে হয়েছে জানায়।
একইসঙ্গে শিশুমৃত্যু এবং আরও শিশুর অসুস্থতার কারণ অনুসন্ধানে দুটি কমিটি করা হয়।
চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন আজিজুর রহমান সিদ্দিকী জানান, ১২ জুলাইয়ের পর থেকে গত তিন দিনে আরও ৩৮ শিশু এসেছে। এখন মোট ৮৪ শিশু চিকিৎসাধীন আছে। এদের মধ্যে ৫০ জন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও বাকি ৩৪ জন ফৌজদারহাট বিআইটিআইডিতে আছেন। তাদের সবারই অবস্থা ভালো। ধীরে হলেও সবাই সুস্থতার পথে আছে।
জুন মাসের শেষের দিকে শিশুরা অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হওয়া শুরু করলেও ত্রিপুরা পাড়ার দরিদ্র শ্রমজীবী বাসিন্দারা স্থানীয়ভাবে ঝাঁড়ফুক ও তাবিজ-কবজের মাধ্যমে শিশুদের সারিয়ে তোলার চেষ্টায় ছিলেন।
ডব্লিউএন