ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ২০ ১৪৩১

সার্জেন্টকে জবি শিক্ষার্থীদের মারধরের ঘটনায় মামলা হচ্ছে

প্রকাশিত : ০৯:৪৫ এএম, ১৮ জুলাই ২০১৭ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৫:৪১ পিএম, ১৮ জুলাই ২০১৭ মঙ্গলবার

উল্টোপথে দ্বিতল বাস যেতে না দেওয়ায় ট্রাফিক সার্জেন্টকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মারধর

উল্টোপথে দ্বিতল বাস যেতে না দেওয়ায় ট্রাফিক সার্জেন্টকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মারধর

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দুইটি বাসকে উল্টো পথে যেতে বাধা দেয়ায় পুলিশের এক সার্জেন্টকে পিটিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। সোমবার বিকাল ৫টার দিকে রাজধানীর বাংলামোটর এলাকায় ঘটনা ঘটে। মারপিটের শিকার ওই সার্জেন্টের নাম কায়সার হামিদ। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

মঙ্গলবার সকালে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ট্রাফিক, দক্ষিণ) একজন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তাঁরা নিয়ম ভঙ্গকারী ও হামলাকারী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা করবেন। মামলায় পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ আনা হবে। রমনা থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকালে শাহবাগের দিক থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি দোতলা বাস বাংলামোটর মোড়ে গিয়ে থামে। এ সময় কয়েকজন ছাত্র কারওয়ান বাজারের (সোনারগাঁও ক্রসিং) দিক থেকে শাহবাগগামী গাড়িগুলোকে থামিয়ে দোতলা বাস দুটিকে উল্টো দিকে নেওয়ার চেষ্টা করে।

তখন সেখানে কর্তব্যরত সার্জেন্ট উল্টো পথে যেতে বাধা দিলে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে বাস থেকে আরও কয়েকজন ছাত্র নেমে সার্জেন্টকে মারধর শুরু করে। এ সময় অবশ্য কিছু শিক্ষার্থী হামলাকারীদের থামানোর চেষ্টা করে।

আরেক সার্জেন্ট দ্রুত মোবাইল ফোনে ঘটনার ভিডিও ধারণ শুরু করলে ছাত্ররা বাসে ফিরে যান। তখন বাস দুটি সোজা পথেই কারওয়ান বাজারের দিকে চয়ে যায়।

এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর ট্রাফিক পুলিশের রমনা অঞ্চলের সহকারী কমিশনার মো. আলাউদ্দীন বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি বাস বাংলামোটর থেকে উল্টো পথে যেতে চাইলে কর্তব্যরত সার্জেন্ট কায়সার হামিদ বাধা দেন। বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে তারা সার্জেন্টের ওপর চড়াও হন, কিছু ধাক্কাধাক্কি করেন। পরে অবশ্য বাস দুটি সোজা পথেই পাঠানো হয়েছে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার‌্য অধ্যাপক মীজানুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, এ ঘটনা জড়িতদের শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

//এআর