ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২১ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

পর্যটনমন্ত্রীর ঘোষণার পরও সীতাকুণ্ড পর্যটনকেন্দ্র স্থাপিত হয়নি

মোহাম্মদ ইউসুফ

প্রকাশিত : ১০:২২ পিএম, ২০ জুলাই ২০১৭ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০২:২৬ পিএম, ১৩ আগস্ট ২০১৭ রবিবার

পর্যটন মন্ত্রীর আনুষ্ঠানিক ঘোষণার দু’দশক অতিবাহিত হলেও সীতাকুণ্ড পর্যটনকেন্দ্র স্থাপিত হয়নি। ১৯৯৭ সালের ১২ অক্টোবর তৎকালীন পর্যটন মন্ত্রী ড. মহিউদ্দিন খান আলমগীর সীতাকুণ্ডের চন্দ্রনাথ পাহাড়ের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান পরিদর্শন করে এখানে পর্যটনকেন্দ্র গোড়াপত্তনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। মন্ত্রীর ঘোষণার ১ মাস পর অর্থাৎ ২৬ নভেম্বর ১৯৯৭ বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের ম্যানেজার (পরিকল্পনা, প্রশিক্ষণ, পরিসংখ্যান ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক) এ এন এমদাদুল হকের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি টিম পর্যটনস্পট নির্মাণের লক্ষ্যে এখানের সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেন।

প্রাথমিকভাবে এখানে একটি পর্যটনস্পট, ১টি রেস্তোরাঁ ও ১টি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার নির্মাণ করা হবে বলে স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করা হয়। এসব স্থাপনের জন্যে উপযুক্ত স্থান নির্ধারণপূর্বক স্থানের বিবরণী অতিসত্ত¡র পাঠানোর জন্যে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়। এর কিছুদিন পর পর্যটনমন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর রদবদল হয়। পর্যটন মন্ত্রণালয়ে নতুন মন্ত্রী হন প্রতিবেশি উপজেলা মীরসরাইয়ের কৃতিসন্তান বর্তমান গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। স্বাভাবিকভাবেই সীতাকুণ্ডবাসী আশা পোষণ করেছিল, অচিরেই সীতাকুণ্ড পর্যটনকেন্দ্র স্থাপনের কাজ শুরু হবে। কিন্তু অজ্ঞাতকারণে পর্যটনকেন্দ্র বিষয়ক ফাইলের আর ঊর্ধ্বমুখি যাত্রা শুরু হয়নি। সীতাকুণ্ড পর্যটনকেন্দ্র স্থাপনের প্রক্রিয়া শুরু হলেও ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন পর্যটনমন্ত্রী হওয়ার পর কেন তা বন্ধ করা হয়েছিল- সেই রহস্যের আজও কোনো কুলকিনারা হয়নি।


প্রয়োজনীয় সম্ভাব্য সকল প্রাকৃতিক উপাদান বিদ্যমান থাকার পরও শুধু সরকারি সদিচ্ছা ও উদ্যোগের অভাবে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি সীতাকুণ্ডে পর্যটনকেন্দ্র ও পিকনিকস্পট গড়ে ওঠেনি। সৈকতশহর কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্নস্থানে গড়ে ওঠা পর্যটনস্পটগুলোর চেয়ে সীতাকুণ্ড কোনো অংশে কম নয়। বিভিন্ন সময়ে এখানে আসা দেশি-বিদেশি পর্যটকেরা ‘রূপে ররাণী’ সীতাকুণ্ডকে বাংলার দার্জিলিং বলে অভিহিত করেন। পর্যটনকেন্দ্র স্থাপনের পাশাপাশি হিন্দুসম্প্রদায়ের অন্যতম তীর্থস্থান সীতাকুণ্ড চন্দ্রনাথ ধামকে জাতীয় মহাতীর্থ করা গেলে এবং ভারতের বিভিন্ন স্থানে পাহাড়শীর্ষে অবস্থিত মঠ-মন্দিরের মতো সীতাকুণ্ডেও চন্দ্রনাথ পাহাড়ের পাদদেশে রূফওয়ে পদ্ধতি কিংবা ক্যাবল-কার এর ব্যবস্থা করা হলে দেশি-বিদেশি পর্যটক ও তীর্থযাত্রীদের আগমনে সীতাকুণ্ড আন্তর্জাতিক মিলনমেলায় রূপান্তরিত হতো। এতে বিভিন্নভাবে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রচুর বৈদেশিকমুদ্রা আয়ের পথও সুগম হতো।


গিরি-সৈকতের ছায়াতলে ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও রেলসড়কের দু’পাশে অবস্থিত শিল্পাঞ্চল সীতাকুণ্ডের খ্যাতি রয়েছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে। সনাতনধর্মীদের তীর্থস্থানের কারণে রয়েছে এর বিশ্বজোড়া পরিচিত। চন্দ্রনাথ, স্বয়ম্ভুনাথ, বিরূপাক্ষ, গয়াকুণ্ড, পাতালপুরী, শংকরমঠসহ অনেক মঠমন্দির রয়েছে এখানে। আছে বার আউলিয়া মাজার, গফুরশাহ মসজিদসহ নানা পীর আউলিয়ার দরগাহ। এছাড়া রয়েছে ছোট-বড়- মাঝারি মিলিয়ে দেড়শতাধিক শিল্পকারখানা ও শতাধিক শিপব্রেকিং ইয়ার্ড।


পূর্বের বিশাল পর্বতমালা, পশ্চিমে সমুন্দ্র; বুকচিরে বয়ে গেছে জাতীয় অর্থনীতির লাইফলাইন চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়ক ও রেলসড়ক। সমুদ্র উপকূলীয় বেড়িবাঁধ ও সংলগ্ন এলাকা জুড়ে গড়ে ওঠেছে বনাঞ্চল। উত্তরসীতাকুণ্ডের পাহাড়ে আছে ঐতিহাসিক ‘সহস্রধারা’- যেখানে কবি সাহিত্যিকেরা তাদের সরস উপকরণ খোঁজে পান। আর শিল্পীর তুলি খোঁজে পায় জীবনের অসাধারণ স্বাদ। বাড়বকুণ্ড পাহাড়ে রয়েছে সেই বহুল আলোচিত অগ্নিকুণ্ড-যেখানে অবিরত জ্বলছে আগুন। অবাক-বিষ্ময়ে থমকে দাঁড়ায় দর্শনার্থীরা। ভূতত্ত¡বিদেরা অবশ্য অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনাটিকে ভূগর্ভ থেকে গ্যাস নিঃসরণের কথা বললেও ধর্মপ্রাণ হিন্দুরা আবহমানকাল থেকে এটিকে পূণ্যার্জনের মাধ্যম হিসেবে ধর্মীয় কর্মকাণ্ড সম্পন্ন করে আসছে।


গয়া, কাশি ও বৃন্দাবনের মতো সীতাকুণ্ডও বাংলাদেশি সনাতন স¤প্রদায়ের অন্যতম তীর্থক্ষেত্র। শুধু তাই নয়, সীতাকুণ্ডে তীর্থকাজ সম্পন্ন না করলে কোনো তীর্থই সম্পন্ন হয় না হিন্দুধর্মালম্বীদের। প্রতিবছর শিবচতুর্দশী মেলার সময় এখানে সমাগম ঘটে লাখ লাখ মানুষের। ভারত, নেপাল ও শ্রীলঙ্কা থেকেও একসময় প্রচুর পুণ্যার্থী এখানে আসতেন। মেলার সপ্তাহখানেক আগে থেকে বিশেষ ট্রেনে ছুটে আসতেন মাড়োয়ারিরা। বর্তমানে বিদেশী পুণ্যার্থীরা আগের মতো না আসলেও মেলা উপলক্ষে চন্দ্রনাথধামে অগণিত মানুষের ঢল নামে। হিন্দুধর্মালম্বী ছাড়াও অন্য ধর্মের অনুসারীরাদেরও মেলার ভিড়ে হারিয়ে যেতে দেখা যায়।


শীতমৌসুমে সীতাকুণ্ডের চন্দ্রনাথ ধামে দর্শনার্থীদের ভীড় সবার নজর কাড়ে। পিকনিক পার্টির তৎপরতা তো আছেই। বিশেষ করে প্রতি শুক্র-শনিবার কিংবা সরকারি ছুটির দিনে চন্দ্রনাথের পাদদেশে পিকনিকের যানগুলোর দাপট লক্ষ্য করা যায়। অসংখ্য বাস, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার ইত্যাদি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। তরুণ-তরুণীদের আনাগোনায় এ সময় মুখরিত হয়ে ওঠে নীরব-নিস্তব্ধ পাহাড়ি পরিবেশ। এখানের পাহাড়ের বিশাল মৌনতা পর্যটকদের ভিন্ন এক জগতে নিয়ে যায়। স্রোতস্বিনী ঝর্ণার অনন্য ধ্বনির তালে তালে, আমলকি, হরিতকির ছায়া মাড়িয়ে দর্শনার্থীরা প্রিয়জনকে নিয়ে হারিয়ে যেতে পারে পাহাড়ের অলিতে-গলিতে। প্রতিবছর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত¡ বিভাগের শিক্ষকদের নেতৃত্বে ছাত্রছাত্রীরা বাস্তব জ্ঞান আহরণের জন্যে খনিজ সম্পদসমৃদ্ধ সীতাকুণ্ডের পাহাড়ে সপ্তাহ ও পক্ষকালব্যাপী অনুসন্ধানকাজ চালাতে দেখা যায়। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্কুল-কলেজের জ্ঞানপিপাসু শিক্ষার্থীরা এখানের প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, চিটাগাং কেমিক্যাল কমপ্লেক্স, গালফ্রা হাবিব লিমিটেডসহ বিভিন্ন কলকারখানায় কারগরি দিক দর্শন করে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে থাকে।


সীতাকুণ্ডের পশ্চিমে রয়েছে সুদীর্ঘ সমুদ্রোপকূলীয়-বেড়িবাঁধ। এখানে আছে উপকূলীয় বনবিভাগের সাফল্য বেড়িবাঁধ ও এর পশ্চিমে এক-দেড় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে গড়ে ওঠা নিবিড় অরণ্য। সামুদ্রিক পাখির কলকাকলী, পালতোলা নৌকায় বসা মাঝি-মাল্লার ভাটিয়ালী সুর, বাবলাগাছের ছায়ায় বসে জোয়ার-ভাটার খেলা ও মাছধরার দৃশ্য দেখা, রাখালের বাঁশের বাঁশির অপূর্ব নিনাদ, গরু-ছাগল, মহিষ-ভেড়ার অবাধ বিচরণ, সূর্য পশ্চিমদিগন্তে বিলীন হওয়ার মূহুর্তেও দৃশ্য, সবুজ গাছ-গাছালির সমারোহ সবকিছু মিলে এক অনির্বচনীয় মায়াবী পরিবেশের সৃষ্টি হয়-যা শুধু দেখার, উপভোগ ও উপলব্ধি করা যায়। বর্ণনা করা যায় না। মনমাতানো উপকূলীয় এ প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য দর্শন থেকে শুধুমাত্র যোগাযোগের দৈন্যতার কারণেই ভ্রমণপিপাসুরা বঞ্চিত হচ্ছেন।


এখানকার অন্য একটি উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থান হচ্ছে ভাটিয়ারির মিলিটারি একাডেমি ও গলফ ক্লাব সংলগ্ন পার্বত্য এলাকায় সৃষ্ট লেকগুলোর পরিবেশ। এখানে পড়ন্ত বেলায় দেশি-বিদেশি নানা বয়সী মানুষগুলো অবসরের সময়টুকু ব্যয় করেন নৈসর্গিক সৌন্দর্য আস্বাদনে। লেকের ধারে দাঁড়িয়ে থাকে বিলাসবহুল দামি গাড়িগুলোর বহর। এসময় ওঠতি বয়সী ছেলে-মেয়েদের উদাস মনে ঘোরা-ফিরা, আড্ডা দেওয়া ও নানা  গল্পগুজবে মেতে ওঠার চিত্র এখানে নিত্য দিনের দৃশ্য। অন্যদিকে সমুদ্রোপকূলীয় এলাকার বগাচতর, মহানগর, বাঁকখালী, সৈয়দপুর, মুরাদপুর, বাড়বকুণ্ড, কুমিরা প্রভৃতি স্থানে ভ্রমণ করে আনন্দ ও জিজ্ঞাসার চূড়ান্তপ্রাপ্তি ঘটে- যা দর্শনার্থীর জন্যে বাকি জীবনের বিরাট এক সঞ্চয়।

এখন যা প্রয়োজন তা হল, সমুদ্রোপকূলীয় ও পাহাড়ি এলাকায় বিভিন্ন স্থানে যাওয়া-আসার সুবিধার্থে আন্তঃযোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক হয়ে সৈয়দপুর থেকে সলিমপুর পর্যন্ত পশ্চিমে যেসব গ্রামীণসড়ক রয়েছে সেগুলোর সংস্কার ও প্রশস্ত করা। সড়কগুলো হচ্ছে- কমর আলী-কমলদহ সড়ক, টেরিয়াইল সী রোড, বাংলাদেশ সীরোড (বড় দারোগা হাট বাজারের পশ্চিমে), মীরের হাট সীরোড, গোলাবাড়িয়া সীরোড, মুরাদপুর-ফকিরহাট রোড,মান্দারিটোলা সীরোড, বাঁশবাড়িয়া সীরোড, কুমিরা ঘাটঘর রোড, শীতলপুর রোড ও লতিফপুর সড়ক। অপর দিকে সমতলভূমি থেকে প্রায় ১৪শ ফুট উচু পাহাড়ে অবস্থিত চন্দ্রনাথ মন্দির থেকে শুরু হয়ে পাহাড়ের ওপর দিয়ে তিন কিলোমিটার লম্বা মাইক্রোয়েভ সড়কটি ফকিরহাট এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাথে মিশেছে। ইট বিছানো এ রাস্তাটি ১৯৬৯ সালে নির্মিত হয়। এ রাস্তাটিকে ব্যাপক সংস্কার ও উন্নয়ন করা গেলে পর্যটক ও তীর্থযাত্রীরা অনায়াসে পাহাড় শীর্ষে ওঠে একনজরে জল-স্থল ও অন্তরীক্ষের অনেক কিছু দেখার সুযোগ পাবে।


উল্লেখ্য, একুশবছর পর ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তৎকালীন সীতাকুণ্ডের এমপি আলহাজ্ব এ বি এম আবুল কাসেম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সরকারের প্রায় সকল গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীদের সীতাকুণ্ড পরিদর্শন করান এবং সীতাকুণ্ডের উন্নয়নে যুগান্তকারী নানা উন্নয়নমূলক কার্যক্রম শুরু করেছিলেন। সড়ক ও জনপথ (সওজ) এর অধীনে এনে উত্তর বগাচতর থেকে ছোটকুমিরা পর্যন্ত প্রত্যন্ত অঞ্চলের ভেতর দিয়ে অবস্থিত হাবিব আহমদ চৌধুরী রোডের ব্যাপক সংস্কার ও উন্নয়ন, উত্তর বগাচতর এলাকায় বিদ্যুাতায়ন, সীতাকুণ্ড সদরের টিএন্ডটির পিসিও (পাবলিক কল অফিস) ভবনে ৫০০ লাইনের ডিজিটাল টেলিফোন একচেঞ্জ স্থাপন, যানজট নিরসনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের  সীতাকুণ্ড বাজার (উপজেলা সদর) ও কুমিরা বাজার এলাকায় বাইপাস রোড নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ, সীতাকুণ্ড সদর ইউনিয়নকে পৌরসভায় রূপান্তর, বোটানিক্যাল গার্ডেন ও ইকোপার্ক স্থাপন, সীতাকুণ্ড চন্দ্রনাথ ধামকে জাতীয় মহাতীর্থ করার প্রচেষ্টা, সীতাকুণ্ডে পর্যটনকেন্দ্র স্থাপনের প্রক্রিয়া শুরু করাসহ গ্রামীণ অবকাঠামো ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সার্বিক উন্নয়নে নজিরবিহীন অবদান রাখেন।


সীতাকুণ্ডের নৈসর্গিক সৌন্দর্যের ওপর ভর করে বোটানিক্যাল গার্ডেন ও ইকোপার্ক নির্মাণ করা হলেও পর্যটকদের সুবিধার্থে তেমন অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়নি। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বেষ্টনী না থাকায় প্রায় সময় ছিনতাই ও খুন-খারাবির মতো ঘটনা এখানে ঘটছে।   


আমাদের প্রত্যাশা, সীতাকুণ্ডের রাজনৈতিক নেতৃত্ব পর্যটনের এ অমিত সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে উদ্যোগী হবেন।

লেখক: প্রধানসম্পাদক, সাপ্তাহিক চাটগাঁর বাণী।