ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

বিশ্ব আবহাওয়া দিবস আজ

প্রকাশিত : ০৯:১৭ এএম, ২৩ মার্চ ২০১৬ বুধবার | আপডেট: ১২:৪৭ পিএম, ২৩ মার্চ ২০১৬ বুধবার

তাপমাত্রা বাড়তে থাকায় দিন দিন বদলে যাচ্ছে বৈশ্বিক জলবায়ু। বাংলাদেশ হারাচ্ছে ঋতু বৈচিত্র। এভাবে চলতে থাকলে, এই শতক বিদায় নেয়ার আগেই বিশ্বজুড়ে বাড়বে খাদ্যাভাব, ডুবে যাবে উপকূলীয় অঞ্চল। এমনই শংকা আবহাওয়াবিদদের। এসব মাথায় রেখেই আজ নানা কর্মসূচিতে পালিত হচ্ছে বিশ্ব আবহাওয়া দিবস। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার তথ্য মতে, ২০১১-২০১৫ সাল ছিল সবচেয়ে উষ্ণ। আর ২০১৫ সাল ছিলো উষ্ণতম। এলনিনোর প্রভাব বিশ্ববাসী ভালভাবেই টের পায় ঐ বছর। আর তাই এ বছর বিশ্ব আবহাওয়া দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, উষ্ণতা, আদ্রতা, শুষ্কতা: ভবিষ্যত মোকাবেলা। সৌরজগতের একমাত্র বাসযোগ্য এই গ্রহের কি পরিবর্তন হচ্ছে, তা গত কয়েক দশকের পর্যবেক্ষনেই বোঝা যায়। গেলো কয়েক দশকে তা আরও পরিস্কার হয়েছে। বরফাঞ্চল ক্রমাগত গলে বাড়ছে সমুদ্রের উচ্চতা, ভেসে যাচ্ছে উপকূলীয় অঞ্চল। বাংলাদেশে গেল ২৮ বছরে পাল্টে গেছে ঋতু বৈচিত্র। ষড়ঋতুর বাংলাদেশের ¯িœগ্ধ আর মুগ্ধতার বসন্ত-হেমন্তকাল, গ্রীষ্ম আর শীতের দখলে প্রায় বিলীন। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, সতর্কতার সময় এখনই। বিশ্বব্যাপী এই আবহাওয়ার পরিবর্তনে সময় এসেছে অভিযোজনের। তাপমাত্রার অস্বাভাবিক বৃদ্ধি প্রতিরোধে আইনও প্রনয়ন করছে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা। মৌসুমী বায়ুর অস্বাভাবিকতায় প্রানীজগত থেকে শুরু করে প্রভাব পড়ছে বাস্তুসংস্থানে। প্রাকৃতিক পরাগায়ন ব্যহত হওয়ায়, কমছে ফুল, মাছ, রবিশষ্যের ফলন। তাই জলবায়ু পরিবর্তনের আরও বিরূপ প্রভাব পড়ার আগেই, ধরিত্রী রক্ষায় রাষ্ট্রের পাশাপাশি ব্যক্তি পর্যায়েও সচেতনতা বাড়িয়ে দূরদর্শী ভূমিকা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।