ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

চিটাগাং চেম্বার ও ইইউ’র মধ্যে সেমিনার অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত : ০৮:৪৫ পিএম, ২১ জুলাই ২০১৭ শুক্রবার | আপডেট: ০৬:৫৮ পিএম, ২৩ জুলাই ২০১৭ রবিবার

দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি এবং ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন (ইইউ)এর যৌথ আয়োজনে “ইইউ হরাইজন ২০২০: অপরচ্যুনিটিস ফর বাংলাদেশ” শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বন্দর নগরী চট্টগ্রামের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারস্থ বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন কর্তৃক এ প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষি, খাদ্য, স্বাস্থ্য, মৎস্য চাষ, পানি সম্পদ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং জ্বালানী খাতে গবেষণার জন্য অর্থায়নের পদ্ধতি সম্পর্কে সংশ্লিষ্টদের অবহিত করার লক্ষ্যে এ সেমিনার আয়োজন করা হয়।

চিটাগাং চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত ও হেড অব দ্যা ডেলিগেশন পিয়্যারে মায়াউদোন।

চিটাগাং চেম্বার সহ-সভাপতি সৈয়দ জামাল আহমেদ, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)এর উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম, সাউদার্ন ইউনিভার্সিটির উপ-উপার্চা অধ্যাপক ইঞ্জিনিয়ার এম. আলী আশরাফ, তুর্কির অনারারী কনস্যুল জেনারেল সালাহ্উদ্দীন কাসেম খান, জাপানের অনারারী কনস্যুল জেনারেল মো. নুরুল ইসলাম, ইতালীর অনারারী কনস্যুল মীর্জা সালমান ইস্পাহানী, ফিলিপিনস্’র অনারারী কনস্যুল মোহাম্মদ এ আউয়াল, দক্ষিণ আফ্রিকার অনারারী কনস্যুল মো. সোলায়মান আলম শেঠ, চেম্বার পরিচালকবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কাউন্সিলর এন্ড হেড অব রিসার্চ এন্ড ইনোভেশন তানিয়া ফ্রেডরিক ও উপদেষ্টা ড. বিবেকধাম।

রাষ্ট্রদূত পিয়্যারে মায়াউদোন বলেন, বাংলাদেশ এমডিজি অর্জনের পর এসডিজি অর্জনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন এদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যসহ অর্থনৈতিক উন্নয়নে এক সাথে কাজ করছে। বাংলাদেশ ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন বিজনেস কাউন্সিলের মাধ্যমে এক্ষেত্রে আরো উন্নয়ন সম্ভব হবে।


চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলে, বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের ৫৫ শতাংশ ইউরোপ থেকে আসে। জিএসপি সুবিধার কারণে আমরা এখন দ্বিতীয় বৃহত্তম আরএমজি রপ্তানিকারক দেশ। ট্রেড পলিসি নির্ধারণ, কর্মদক্ষ ও পরিবেশবান্ধব শিল্পায়নসহ বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের অবদান অপরিসীম।

তিনি আরও বলেন, হরাইজন ২০২০ এর মাধ্যমে দেশীয় প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিগত গবেষণা অনেক বেশি সমৃদ্ধ হবে। যা পক্ষান্তরে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, জীবনমান উন্নয়ন এবং প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতা অর্জনে ভূমিকা রাখবে।

চেম্বার সহ-সভাপতি সৈয়দ জামাল আহমেদ ইউরোপ ভ্রমণকারী ব্যবসায়ীদের জন্য ভিসা প্রসেস সহজীকরণের আবেদন জানান।

সূত্র: বিজ্ঞপ্তি।