মৃত্যুর অনুমতি চেয়ে আবেদন করা সেই যুবকের মৃত্যু
প্রকাশিত : ০৮:২৪ পিএম, ২২ জুলাই ২০১৭ শনিবার | আপডেট: ০৪:৫৫ পিএম, ২৩ জুলাই ২০১৭ রবিবার
মেহেরপুরে মৃত্যুর অনুমতি চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করা তিনজনের একজন সবুর হোসেন (২৪) মারা গেছেন। শনিবার দুপুরে শহরের বেড়পাড়ার নিজ বাড়িতে তার মৃত্যু হয়।
সবুর দূরারোগ্য ‘ডুসিনি মাসকুলার ডিসট্রফি (ডিএমডি)’ রোগে ভুগছিলেন।
২০০২ সাল থেকে দুরারোগ্য ব্যাধি ‘ডুসিনি মাসকুলার ডিসট্রফি (ডিএমডি)’ রোগে আক্রান্ত হন তিনি। তার কয়েক বছর পর আক্রান্ত হয় তার ছোট ভাই রাইহানুল ইসলাম (১৩)। সম্প্রতি একই রোগে আক্রান্ত হয় তার ভাগিনা সৌরভ (৮)। তাদের চিকিৎসা করতে গিয়ে সর্বস্ব হারিয়েছেন বাবা তোফাজ্জেল হোসেন।
নিরুপায় হয়ে পরিবারের সদস্যদের মৃত্যুর অনুমতি চেয়ে চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক পরিমল সিংহ বরাবর আবেদন করেন তোফাজ্জেল হোসেন।
এমন একটি সংবাদ বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশের পর ভারতের মুম্বাইয়ে অবস্থিত নিউরোজেন ব্রেইন অ্যান্ড স্পাইন ইনস্টিটিউট তাদের চিকিৎসার ভার বহন করে। সম্প্রতি ওই প্রতিষ্ঠান থেকে চিকিৎসা নিয়ে দেশে আসে তারা।
চিকিৎসকদের মতে, এই রোগে আক্রান্ত যে কোনো ব্যক্তি ১৮-২৫ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করে।
এদিকে সবুরকে শেষ বিদায় দিতে আশেপাশের মানুষ ছুটে আসেন তাদের বাড়িতে। পরিবারে বইছে শোকের মাতম। এক সময়ের স্বচ্ছল ফল ব্যবসায়ী তোফাজ্জেল হোসেন ভিটেমাটি সব কিছুই ছেলেদের চিকিৎসার জন্য ব্যয় করেছেন। ভারতে চিকিৎসা শেষে সম্প্রতি দেশে ফিরে রোগমুক্তির আশায় ছিলেন। এমন সময় সবুরের চলে যাওয়ায় ভেঙে পড়েছেন তিনি। ছেলেদের জীবন বাঁচাতে তিনি প্রাণপণ চেষ্টা করেছেন।
ডব্লিউএন