ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

থানকুনি পাতা যে কারণে খাবেন

প্রকাশিত : ০৮:১৭ পিএম, ২৬ জুলাই ২০১৭ বুধবার | আপডেট: ০১:২৮ পিএম, ২৭ জুলাই ২০১৭ বৃহস্পতিবার

দেশের সব জায়গায় থানকুনি পাতা পাওয়া যায়। এটি আমাদের দেশের খুব পরিচিত একটি ভেষজ গুণসম্পন্ন উদ্ভিদ। অনেক রোগের উপশম মেলে এর ভেষজ গুণ থেকে। অঞ্চলভেদে থানকুনি পাতাকে টেয়া, মানকি, তিতুরা, থানকুনি, আদামনি, ঢোলামানি, থুলকুড়ি, মানামানি, ধূলাবেগুন, আদাগুনগুনি নামে ডাকা হয়।

এই হলো থানকুনি পাতার প্রাথমিক পরিচিতি। থানকুনির ভেষজ গুণাবলি ছাড়াও অনেকে সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য এটি রোপণ করে, তাছাড়া থানকুনি দিয়ে অনেক সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্য সম্মত খাবার তৈরি করা যায়। থানকুনির নানা ভেষজ গুণ রয়েছে।

থানকুনি পাতা কুচি কুচি করে কেটে  মরিচ, রসুন, লবণ মিশিয়ে বাটায় বেটে নিলেই ভর্তা খাওয়া যায় । থানকুনি পাতা শাক হিসেবে রান্না করে খাওয়া হয়, বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে। ভর্তা করে বা কাঁচা পাতা সালাদ হিসেবেও খাওয়া যায়। থানকুনিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ।

থানকুনি পাতা সকল ধরনের পেটের অসুখের  মহৌষধ। পাতা বেটে ভর্তা করে বা ঝোল করে খেলে বদহজম, ডায়রিয়া, আমাশয় ও পেটব্যথা সেরে যায়।

আলসার এগজিমা, হাঁপানি, চুলকানি ও অন্যান্য চর্মরোগ সারাতে থানকুনি অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা পালন করে  থাকে।

থানকুনি পাতার নানা ভেষজ গুণ রয়েছে। নিয়মিত থানকুনি পাতার রস খেলে ত্বক ও চুল সুন্দর থাকে। জ্বর পেটের পীড়া, আমাশয়, আলসার, বাতের বাথা বিভিন্ন অসুখের ওষুধ হিসেবে এটি ব্যাবহার করা হয়ে থাকে।

থানকুনি স্নায়ুতন্ত্রকে সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে। সংবহনতন্ত্রের স্থায়ীভাবে স্ফীত ও বর্ধিত শিরা কমাতে সহায়তা করে।

থানকুনি পাতা চামড়া মসৃণ করে এবং ক্ষতিগ্রস্ত কোষকে পুণর্গঠনে সাহায্য করে।

কেআই/ডব্লিউএন