ঢাকা, রবিবার   ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪,   আশ্বিন ১৩ ১৪৩১

তীরে এসে তরী ডোবাল বাংলাদেশ

প্রকাশিত : ০৮:৫৬ এএম, ২৪ মার্চ ২০১৬ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৮:৫৬ এএম, ২৪ মার্চ ২০১৬ বৃহস্পতিবার

টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার টেনে শ্বাসরুদ্ধকর আর নাটকীয় ম্যাচে ভারতের কাছে মাত্র ১ রানে হেরেছে মাশরাফি বাহিনী। জয়ের জন্য ১৪৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের শেষ বলে ৯ উইকেটে ১৪৫ রানে থেমে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশী বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৪৬ রান সংগ্রহ করে ভারত। এই হারে সেমিফাইনালে ওঠার আর সুযোগ থাকলনা বাংলাদেশের। টুর্নামেন্টে প্রথমবার টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ দলপতি মাশরাফি বিন মুর্তজা। শুরুটা অবশ্য দেখে শুনে খেলতে থাকেন দুই ভারতীয় ওপেনার। বাংলাদেশকে প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দেন মুস্তাফিজ। এই কার্টার মাষ্টারকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে সাব্বিরের হাতে ক্যাচ দিয়ে ব্যাক্তিগত ১৮ রানে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন শর্মা। বেশী দূর যেতে পারেননি আরেক ওপেনার শিখর ধাওয়ান।  ২৩ রান করার পর সাকিবের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। এরপর জুটি গড়েন  সুরেশ রাইনা ও নির্ভরতার প্রতিক ভিরাত কোহলি। কিন্তু নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে স্বাচ্ছন্দে খেলতে পারছিলেননা এই দুই হার্ড হিটার ব্যাটসম্যান। ভিরাত কোহলিকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৪ রানে আউট করে স্টেডিয়ামের গর্জন থামিয়ে দেন শুভাগত হোম। এরপর আলআমিনের জোড়া আঘাত। প্রথম ফেরান দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩০ রান করা সুরেশ রায়নাকে। এক বল পরেই সৌম্যর দূর্দান্ত ক্যাচে পান্ডিয়াকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখিয়ে হ্যাট্টিকের সম্ভাবনা জাগান আল-আমিন।  হ্যাট্টিকের দেখা না পেলেও ভারতের রানের লাগাম টেনে ধরতে দারুন ভূমিকা রাখেন এই পেইসার। শেষ দিকে ধোনী আর রবিন্দ্র জাদেজা চেষ্টা চালিয়েছেন বড় হিট করতে। কিন্তু বাংলাদেশী বোলারদের দারুন বোলিংয়ে সফল হয়নি সেই চেষ্টা। ধোনী ১৩ রানে অপরাজিত থাকলেও মুস্তাফিজের দূর্দান্ত কার্টারে সরাসরি বোল্ড হন জাদেজা। আর বোলিংয়ে আল-আমিন ও মুস্তাফিজ নিয়েছেন দুইটি করে উইকেট। মাঝারি মানের স্কোর তাড়া করতে গিয়ে বাংলাদেশের শুরুটা ছিল হতাশাজনক। মাত্র ১ রানে উইকেট বিলিয়ে দিয়েছেন মিথুন। তবে, সদ্য অসুস্থ্য থেকে সেরে ওঠা তামিম কিন্তু খেলছিলেন নিজের মতই। ৩২ বলের মোকাবেলায় দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৫ রান করে ডাউন দ্যা উইকেট খেলতে গিয়ে জাদেজার বলে স্টাম্প আউট হন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। আর আশা জাগিয়েও ২৬ রানে সাব্বির আউট হলে ব্যাকফুটে বাংলাদেশ। এরপর হাল ধরতে আগেই ব্যাটিংয়ে নামেন মাশরাফি। তবে ৬ রানের বেশী করতে পারেননি বাংলাদেশ দলপতি। মাঝে অশ্বিনের ঘূর্নি আঘাতে সাকিব ২২ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরত গেলে আশা-নিরাশার দোলাচালে মাশরাফি বাহিনী। তবে, সম্প্রতি ওপেনিংয়ে ব্যার্থ সৌম্য সরকার সমান সংখ্যক বলে ২১ রান করে আবারো আশা জাগিয়ে তোলেন। জমজমাট ম্যাচের শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ১১ রান। শ্বাসরুদ্ধকর এই ওভারে মুশফিক দুইটি চার মেরে আনন্দের উপলক্ষ্য এনে দেন বাংলাদেশ শিবিরে। কিন্তু উচ্চভিলাসি শর্টে পরপর দুই বলে মুশফিক ১১ রানে এবং মাহমুদুল্লাহ ১৮ রানে আউট হলে উল্লাসে মাতে ভারতীয় সমর্থকরা। নাটকিয় শেষ ওভারের শেষ বলে মুস্তাফিজ রান আউট হলে করুন হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় বাংলাদেশকে।