ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য জিন্দাপার্ক

প্রকাশিত : ০৩:৫৮ পিএম, ২৯ জুলাই ২০১৭ শনিবার | আপডেট: ০৩:৩৯ পিএম, ৮ আগস্ট ২০১৭ মঙ্গলবার

ইট কাঠের শহরের কর্মব্যস্ততার ফাঁকে অথবা ছুটির দিনে শহরের বাইরে একটু নির্জন এলাকা থেকে ঘুরে আসতে পারেন ধুলোয় মোড়ানো শহরের আশপাশেই রয়েছে এমন কয়েকটি সবুজে ঢাকা স্থান, যেখানে মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানেই যাওয়া সম্ভব নির্জন এলাকায় একদিন বা একবেলা নিজেকে প্রকৃতির সঙ্গে কাটাতে চাইলে চলে যেতে পারেন জিন্দাপার্ক

 

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানার পূর্বাচল উপশহরে অবস্থিত জিন্দাপার্ক। ১৯৮১ সালে ১৫০ বিঘা জমির ওপর অগ্রপথিক পল্লী সমবায় সমিতির পাঁচ হাজার সদস্য জিন্দাপার্কটি গড়ে তোলেন। স্থানীয় যুবকেরা তাদের পৈতৃক টিলা ও বনজ জমি সম্বল করে এলাকাটিকে পার্কের আদলে গড়ে তোলেন।

 

মোট ১৫০ একর জায়গাজুড়ে গঠিত জিন্দাপার্ক যেন একটি সবুজরাজ্য। পার্কের ভেতরে বিশাল জলাশয়, প্রায় আড়াই শ’ প্রজাতির বনজ, ফলদ ও ঔষধিসহ কয়েক লাখ গাছ রয়েছে। রয়েছে স্কুল-কলেজ, মসজিদ, পাঠাগার, কটেজ ও অফিসসহ কয়েকটি স্থাপনা। এসব নির্মাণে দেয়া হয় দৃষ্টিনন্দন নৈসর্গিক রূপ, যা সবারই নজর কাড়ে।

 

রাজধানী থেকে প্রতিদিনই ছুটে যান প্রকৃতিপ্রেমী অনেকে। সাতসকালে শিশির ভেজা ঘাসে খালি পায়ে দাঁড়িয়ে এসব প্রকৃতিপ্রেমী চিনে নেন কাঠমেধা, পাকুড়, নীলমণি লতা, গর্জন, হরীতকী, বহেরা, পবনঝাউ, গর্জন, শ্যাওড়া, পীতরাজ, বাজনা গাছ, দেশী গাবসহ আরো নানান জাতের গাছ।

শহর থেকে যেন গা বাঁচিয়ে গড়ে ওঠা সবুজ এ পার্কে বুক ভরে নেয়া যাবে বিশুদ্ধ বাতাস। গাছ, ঘাসের বিছানা, মাটির রাস্তা, প্লাস্টিক ড্রাম দিয়ে তৈরি ভাসমান সাঁকো, বাগান, হ্রদ, লাইব্রেরি ও আধুনিক পর্যবেক্ষণ টাওয়ার এ পার্ক।

যেভাবে যাবেন: জিন্দাপার্ক যাওয়ার সহজ উপায় হচ্ছে বাসযোগে কুড়িল বিশ্বরোড পৌঁছানো। সেখান থেকে পূর্বাচল হাইওয়ে দিয়ে কাঞ্চন ব্রিজ, তারপর সেখান থেকে রিকশা নিয়ে যাওয়া যাবে জিন্দাপার্ক। এছাড়া কাঁচপুর ব্রিজ দিয়েও যাওয়া যায়। যাত্রাবাড়ি বা নারায়ণগঞ্জ থেকে এ পথ সহজ।

সেক্ষেত্রে কাঁচপুর থেকে নারায়ণগঞ্জের ভুলতা হয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ও পরে শীতলক্ষ্যা পার হয়ে কাঞ্চন ব্রিজে আসতে হবে। জিন্দাপার্কের প্রবেশমূল্য জনপ্রতি ১শ’ টাকা। যদি পার্কের ভেতরে প্যাডেল বোট চালাতে চান, তাহলে ঘণ্টায় পড়বে ৮০-১০০ টাকা।

//আর//এআর