ঢাবি উপাচার্য প্যানেল চূড়ান্ত : শিক্ষক-শিক্ষার্থী হাতাহাতি
প্রকাশিত : ০৬:০৭ পিএম, ২৯ জুলাই ২০১৭ শনিবার | আপডেট: ০৮:২৭ পিএম, ২৯ জুলাই ২০১৭ শনিবার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে হাতাহাতি এবং ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে শিক্ষার্থীরা সিনেট ভবনের ফটকে জড়ো হন। তাঁরা ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন।
বিকল্প প্রস্তাব না থাকায় ভোট ছাড়াই উপাচার্য প্যানেল চূড়ান্ত হয়েছে সিনেটে।
সভায় বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক কামাল উদ্দিন, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন আবদুল আজিজের প্যানেল পাস হয় বলে সিনেট সদস্য শফিউল আলম ভূইয়া জানিয়েছেন।
তিনি জানান, অন্য কোনো প্যানেলের প্রস্তাব না থাকায় একমাত্র প্যানেলটিই পাস হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ-১৯৭৩ আর্টিকেল ১১ (১) অনুযায়ী, মহামান্য চ্যান্সেলর কর্তৃক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাই্স চ্যান্সেলর নিয়োগের জন্য সর্বসম্মতিক্রমে তিনজনের একটি প্যানেল মনোনয়ন করা হয়েছে।
এই নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আদালতেও গিয়েছিলেন বেশ কয়েকজন শিক্ষক, তাতে হাই কোর্ট সিনেটের এই অধিবেশন স্থগিত করে আদেশ দিয়েছিল।
কিন্তু হাই কোর্টের আদেশ আপিল বিভাগ স্থগিত করার পর এই নির্বাচনের বাধা কেটে যায়।
এদিকে সিন্ডিকেট সভা চলাকালীন বেলা পৌনে চারটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মল চত্বরের পাশের ফটক ভেঙে শিক্ষার্থীরা ভেতরে ঢুকে যান। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক এম আমজাদ আলী, সহকারী প্রক্টর রবিউল ইসলামসহ কয়েকজন শিক্ষক ও কর্মকর্তারা ফটকের ভেতরে অবস্থান করছিলেন। তারা শিক্ষার্থীদের পথরোধ করেন। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। সেখানে বসে পড়েন শিক্ষার্থীরা। পাঁচ মিনিটের মধ্যে শিক্ষকেরা তাঁদের ধাওয়া দিয়ে বের করে দেন।
শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ফেস্টুনে তাদের দাবি লিখে আন্দোলন করছেন। ফেস্টুনে লেখা রয়েছে: সিনেটে শিক্ষার্থী প্রতিনিধি কোথায়? আগে ডাকসু পরে ভিসি, ছাত্রপ্রতিনিধিবিহীন উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন মানি না প্রভৃতি।
ডব্লিউএন