ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

২৪ মার্চ জনতার প্রতিরোধে বন্ধ হয়ে যায় এম ভি সোয়াত থেকে অস্ত্র খালাস

প্রকাশিত : ০৯:৫৩ এএম, ২৪ মার্চ ২০১৬ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৯:৫৩ এএম, ২৪ মার্চ ২০১৬ বৃহস্পতিবার

একাত্তরের ২৪ মার্চ জনতার প্রতিরোধে বন্ধ হয়ে যায় এম ভি সোয়াত থেকে অস্ত্র খালাস। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ফিরে যেতে বাধ্য হন অস্ত্র খালাসের দায়িত্ব থাকা পকিস্তানী সেনা অফিসার মেজর জিয়াউর রহমান। চট্টগ্রাম বন্দরে অস্ত্র খালাসের এই গৌরবময় ইতিহাস সংরক্ষণ না রাখায় ক্ষোভ জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধাসহ সংশ্লিষ্টরা। পাকিস্তান গণ-পরিষদের অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণার পর বিক্ষোভ-বিদ্রোহে উত্তাল হয়ে উঠে বন্দর নগরী চট্টগ্রাম। ৭ই মার্চে রেসকোর্সের ময়দানে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ডাক দেয়ার পর চট্টগ্রামে পাকিস্তান বিরোধী আন্দোলন দাবানলের মত ছড়িয়ে পড়ে। সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা জহুর আহমেদ চৌধুরী নেতৃত্বে গঠন করা হয় সংগ্রাম পরিষদ। এদিকে, পাকিস্তানের স্বৈরসরকার বাঙ্গালী নিধনে সামরিক বাহিনীকে ব্যবহারের গোপন তৎপরতা শুরু করে। স্বাধীনতাকামী নিরস্ত্র জনতাকে মোকাবেলায় সামরিক বাহিনীর জন্যে জাহাজ বোঝাই করে অস্ত্র নিয়ে আসা হয় চট্টগ্রাম বন্দরে। ১৭ নম্বর জেটি, যেটি বর্তমানে নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল হিসাবে পরিচিত, সেখানে ভেড়ে অস্ত্র বোঝাই এমভি সোয়াত জাহাজ। জাহাজে অস্ত্র আনার খবরটি পৌঁছে যায় সংগ্রাম পরিষদের নেতাদের কাছে। সিদ্ধান্ত হয়, অস্ত্র খালাস প্রতিরোধের। ২৪ মার্চ বিকেলে সমাবেশ আহবান করা হয় বন্দর এলাকায়। প্রতিরোধ গড়ে তোলা হয় অস্ত্র খালাসের। অন্যদিকে, জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে চালানো হয় নির্বিচারে গুলি। জাহাজ থেকে অস্ত্র খালাস করতে গিয়ে জনতার প্রতিরোধের মুখে পড়ে ছিলেন পাকিস্তানী সেনা অফিসার মেজর জিয়াউর রহমান। জনতার প্রতিরোধে বাধ্য হন অস্ত্র খালাস না করে ক্যান্টমেন্টে ফিরে যেতে। ২৫ শে মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষনার পর চট্টগ্রামে শুরু হয় সর্বাত্মক মুক্তির সংগ্রাম। স্বাধীনতার ৪৪ বছর পরও চট্টগ্রাম বন্দরে এমভি সোয়াত থেকে অস্ত্র খালাস ও মুক্তিযুদ্ধের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস সংরক্ষণের উদ্যোগ না থাকায় ক্ষোভ জানান এর সাথে সংশ্লিষ্টরা।