একনেকে ৮ প্রকল্প অনুমোদন
প্রকাশিত : ০৮:০৯ পিএম, ১ আগস্ট ২০১৭ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৮:৩৫ পিএম, ২ আগস্ট ২০১৭ বুধবার
বেনাপোল বন্দরের অবকঠামোগত উন্নয়নসহ মোট আটটি প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।
মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত একনেক সভায় এসব প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে তিন হাজার ১৭১ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে দুই হাজার ৫৭৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে পাওয়া যাবে ৫৯২ কোটি ৫৬ লাখ টাকা।
বৈঠক শেষে পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের এসব কথা জানান। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সীমারেখায় অবস্থিত শেওলা, ভোমরা, রামগড় এবং বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি-রফতানির পাশাপাশি নিয়মিত পর্যটক চলাচল করে থাকে। এ কারণে এই চার স্থলবন্দরের সক্ষমতা ও নিরাপত্তা বাড়াতে অবকাঠামো উন্নয়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ রিজিওনাল কানেক্টিভিটি প্রজেক্ট, শেওলা, ভোমরা, রামগড় স্থল বন্দর উন্নয়ন এবং বেনাপোল স্থলবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় শেওলা, ভোমরা, রামগড় ও বেনাপোল স্থলবন্দরের বিভিন্ন ধরনের অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা হবে। এতে ৬৯৩ কোটি টাকা ব্যয় হবে।
যার মধ্যে বিশ্বব্যাংক ৫৯২ কোটি ৫৬ লাখ টাকা প্রকল্প সাহায্য হিসেবে প্রদান করবে। বাকী ১০০ কোটি ৪৪ লাখ টাকা পাওয়া যাবে সরকারি তহবিল থেকে। চলতি বছরের জুলাই থেকে ২০২১ সালের জুন মাসের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে পরিকল্পনা মন্ত্রী আরও জানান, ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে এমন সব নদী যৌথভাবে খননের বিষয়ে দু’দেশের সরকারের মধ্যে কথাবার্তা চলছে বলে। এতে যে খরচ হবে, তার ৭০ শতাংশ ভারত সরকার এবং ৩০ শতাংশ অর্থ বাংলাদেশ ব্যয় করবে। তবে এখনও এটি চূড়ান্ত হয়নি।
যৌথ নদীগুলো ভারত থেকে এদেশে পলি বহন করে নিয়ে আসার কারণে খরচের বড় অংশ ভারতকে বহনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেসব প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু করেছিলেন অথচ এখনও অসম্পন্ন রয়ে গেছে, সেসব প্রকল্প আবারো গ্রহণ করে-তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানান পরিকল্পানা মন্ত্রী।
একনেক বৈঠকে অনুমোদন পাওয়া অন্য প্রকল্পসমূহ হলো-চাঁদপুর-মাওয়া-গোয়ালন্দ হয়ে পাকশি পর্যন্ত নৌ-রুটের নব্যতা উন্নয়ন প্রকল্প, নবীনগর-শিবপুর-রাধিকা আঞ্চলিক মহাসড়ক নির্মাণ ও উন্নয়ন প্রকল্প, জামালপুর-ধানুয়া কামালপুর-কদমতলা (রৌমারী) জেলা মহাসড়ক প্রশস্থকরণ ও মজবুতিকরণ প্রকল্প, রাজবাড়ী শহর রক্ষা প্রকল্প, টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর ও ভুঞাপুর উপজেলাধীন যমুনা নদীর বামতীরবর্তী কাউলীবাড়ী ব্রীজ হতে শাখারিয়া পর্যন্ত তীর সংরক্ষণ প্রকল্প, মেঘনা নদীর ভাঙ্গন থেকে চাঁদপুর জেলার হরিণা ফেরিঘাট এবং চরভৈরবী এলাকার কাটাখাল বাজার রক্ষা প্রকল্প, সিলেট টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ স্থাপন প্রকল্প।