সিএসআর নীতিমালা প্রণয়নের দাবি ডিসিসিআইর
প্রকাশিত : ১১:১১ পিএম, ২ আগস্ট ২০১৭ বুধবার | আপডেট: ০৮:১০ পিএম, ৩ আগস্ট ২০১৭ বৃহস্পতিবার
সরকারের কাছে সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রমের (সিএসআর) একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়নের জোর দাবি জানিয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। বুধবার ডিসিসিআই ভবনে “বাংলাদেশে কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানসমূহে সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রম জোরদার” শীর্ষক সেমিনারে সংগঠনের নেতারা এ দাবি জানায়।
ডিসিসিআই এবং এস আর এশিয়া বাংলাদেশ যৌথভাবে আয়োজিত এ সেমিনারে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
ডিসিসিআই সভাপতি আবুল কাসেম খান বলেন, বাংলাদেশে সামাজিক দায়বদ্ধতার কার্যক্রম দীর্ঘদিন যাবত চালু থাকলেও এখনও তা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করেনি। তিনি বলেন, এসডিজিতে উল্লেখিত দারিদ্র বিমোচন, ক্ষুধা নিবারণ, কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধারাকে বেগবান করার লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে সিএসআর কার্যক্রম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, যেকোনো প্রতিষ্ঠানের সুনাম বৃদ্ধিতে সিএসআর কার্যক্রম একান্ত আবশ্যক। তিনি আরোও বলেন, যেকোনো প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি কর্মীদের দক্ষতা বাড়ানোর বিষয়ে সিএসআর অত্যন্ত কার্যকর।
অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, বাংলাদেশে অনেক আগে থেকেই সিএসআর কার্যক্রম চালু রয়েছে এবং সমাজে বিভিন্ন ভাবে সিএসআর কার্যক্রম চালু আছে।
এসময় তিনি আরোও বলেন, বাংলাদেশে একটি সিএসআর নীতিমালা প্রণয়নের লক্ষ্যে অর্থমন্ত্রণালয় ইতোমেধ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, সংস্থা, বাণিজ্যিক সংগঠন ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের নিকট হতে সুপারিশমালা গ্রহণ করেছে এবং সরকার এ সুপারিশের আলোকে সিএসআর নীতিমালা প্রণয়নে শীঘ্রই একটি জাতীয় কাউন্সিল গঠন করবে।
সেমিনারে এস আর এশিয়া বাংলাদেশ’র কান্ট্রি ডিরেক্টর সুমাইয়া রশিদ বলেন, সিএসআর নীতিমালা প্রণয়ন হলে দেশের কর্পোরেট সংস্থাসমূহে সিএসআর কার্যক্রম আরোও সক্রিয়ভাবে কার্যকর করা যাবে। তিনি জানান, এশিয়া অঞ্চলের বিভিন্ন দেশে ইতোমধ্যে সিএসআর নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে এবং তা একটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করেছে।
সেমিনারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এএসএম আমানউল্লাহ মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। মূল প্রবন্ধে তিনি বলেন, দেশের কর্পোরট সংস্থাসমূহ সিএসআর কার্যক্রমের পরিধি বৃদ্ধি করলে এর প্রভাব স্বাস্থ্য, শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন এবং জ্বালানি খাতের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
অনুষ্ঠানে ডিসিসিআই সহ-সভাপতি হোসেন এ সিকদার, পরিচালক আলাউদ্দিন মালিক, সাবেক সহ-সভাপতি এম আবু হোরায়রাহ, সাবেক পরিচালক এ কে ডি খায়ের মোহাম্মদ খান এবং মহাসচিব এএইচএম রেজাউল কবির উপস্থিত ছিলেন।
আরকে/ টিকে/