1. প্রচ্ছদ
2. রাজনীতি

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, গণতন্ত্রের শত ফুল ফুটছে, ভালো তো। জোট হবে, নয়া মেরুকরণ হবে এটাই রাজনীতির নিয়ম। এটা হতে থাক, অসুবিধা কি? নির্বাচনকে সামনে রেখে যা হচ্ছে তা ভালো দিক। তবে শেষ পর্যন্ত এ মেরুকরণ কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, তা দেখতে অপেক্ষা করতে হবে।
বৃহস্পতিবার ড্যফোডিল ইউনিভার্সিটি মিলনায়তনে মাদকবিরোধী সেমিনার ও আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন কাদের।
বুধবার রাতে বিকল্প ধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট সাবেক রাষ্ট্রপতি বি চৌধুরীর বাসভবনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের বৈঠকের বিষয়ে সাংবাদিকরা ওবায়দুল কাদেরের কাছে জানতে চান। জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনের আগে নতুন নতুন জোট তৈরি হবে, এটাই স্বাভাবিক। এটাই রাজনীতির সৌন্দর্য। নির্বাচনের আগে গ্রুপিং হবে, নতুন নতুন জোট তৈরি হবে। এসব জোট কৌশলগত, আদর্শগত নয়। তারা তো ওখানে বসে ষড়যন্ত্র করছেন না। তবু শেষ পর্যন্ত না দেখে এসব জোট সম্পর্কে কিছু বলা যাবে না।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে আদর্শগত বিষয়টা মূখ্য নয়। নির্বাচন হলো কৌশলগত ব্যাপার। এখানে আদর্শগতভাবে জোট না হয়ে কৌশলগত, সময়ের প্রয়োজনে নির্বাচনে জেতার জন্য জোট হয়। তবে এ জোট শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় তা দেখতে হবে, তা দেখার জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।
এর আগে তো আ স ম আবদুর রবের বাসায় আয়োজিত এক বৈঠকে পুলিশের বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাধা দেওয়ার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয়ভাবে ছিল না। অতি উৎসাহী কেউ করেছে কিনা আমি জানি না। এ ধরনের নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে বাধা আমাদের সরকারি কিংবা দলীয়ভাবে দেওয়ার কোনো সম্ভাবনাই নেই।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন সময় হলেই তারা মহাজোট থেকে বের হয়ে যাবেন-বিষয়টি কিভাবে দেখছেন—এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, এখন তো মহাজোট নেই, তাহলে ভাঙবে কি করে? এখন আছে ঐকমত্যের সরকার। এ সরকারে তাদের তিনজন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী রয়েছেন। এরশাদ সাহেব নিজে তো প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হিসাবে পতাকাবাহী গাড়িতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তারা সরকারে স্বেচ্ছায় এসেছেন। এখন যদি তারা বের হয়ে যেতে চান, আমরা বাধা দেবো না। তার বক্তব্যে এমন কোনও ইশারা কিংবা ইঙ্গিত নেই যে তারা সরকার থেকে বের হয়ে যাবে। আর আমরা এমন কোনও সংকটে পড়িনি যে তারা চলে গেলে আকাশ ভেঙে পড়বে। আমরা জনগণের মহাজোটে বেশি বিশ্বাসী।
মন্ত্রিসভা রদবদলের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শোকের মাস চলছে। এই মাসে রদবদল হচ্ছে না। তাই আমি দ্রুত কথাটা এখন বলতে পারি না।
এর আগে আলোচনা সভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘রাস্তাঘাট, সেতু ইত্যাদির মতো পরিবহনে শৃঙ্খলা আনতে পারিনি। দেশে মাদক ব্যবসায়ীরা যেমন বেপরোয়া রাজনীতিতেও কিছু বেপরোয়া রাজনীতিবিদ আছেন। তেমনি সড়কেও বেপরোয়া চালক আছে।
//এআর