ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

গভীর রাতে বৈঠক : জাবি সংকটের সমাধান

প্রকাশিত : ১১:১৯ এএম, ৪ আগস্ট ২০১৭ শুক্রবার | আপডেট: ০৯:৩৯ পিএম, ৪ আগস্ট ২০১৭ শুক্রবার

দীর্ঘ দিন ধরে চলা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সংকটের সমাধান হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে গভীর রাত পর্য ন্ত দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় আলোচনার পর সমাধান বেরিয়ে আসে বলে জানিয়েছেন প্রশাসন ও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার রাত সোয়া একটার দিকে জাবি প্রক্টর তপন কুমার সাহা গণমাধ্যমকে বলেন, উভয়পক্ষের সমঝোতার ভিত্তিতে যৌক্তিক ও সম্মানজক সমাধানের সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত দফায় দফায় বৈঠক শেষে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।   
আলোচনা শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম বলেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শিক্ষক সমিতিকে তাদের ভূমিকার জন্য ধন্যবাদ জানান উপাচার্য।
মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে আসছিলেন। আন্দোলনের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার চতুর্থ দিনের মতো সকাল থেকে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করেন। তবে এদিন বিকেলে প্রশাসন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে, উপাচার্যের এমন আশ্বাসে তাঁরা সাময়িকভাবে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন।
বিকাল পাঁচটার দিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রশাসনের আলোচনা শুরু হয়। রাত ১০টা পর্যন্ত টানা আলোচনা চলে। আধঘণ্টা বিরতি দিয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ফের আলোচনা শুরু হয়। দিবাগত রাত ১টা পর্যন্ত আলোচনা চলে।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সুস্মিতা মরিয়ম গণমাধ্যমকে বলেন, সংকটের সমাধান হয়েছে। শুক্রবার সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সবশেষ অবস্থান জানানো হবে।
২৬ মে ভোরের দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলসংলগ্ন সিঅ্যান্ডবি এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় নাজমুল হাসান ও মেহেদি হাসান নামের দুই শিক্ষার্থী নিহত হন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উপাচার্যের বাসভবনে ভাঙচুর ও শিক্ষক লাঞ্ছনার অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে প্রশাসন মামলা করে। ২৭ মে রাতে ৫৪ জন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সেই মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বিভিন্ন বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মী এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন।
//এআর