ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

ব্লুমবার্গ ডট কমের প্রতিবেদন

রিজার্ভ চুরিতে দুই চীনা নাগরিক জড়িত

প্রকাশিত : ১০:৩২ এএম, ৫ আগস্ট ২০১৭ শনিবার | আপডেট: ০৩:২৫ পিএম, ৮ আগস্ট ২০১৭ মঙ্গলবার

যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় দুই চীনা নাগরিক গ্রেফতার হয়েছে। চুরির সঙ্গে সম্পৃক্ততা পাওয়ায় তাদের ব্যাংক হিসাবও জব্দ করা হয়েছে।
গত ৩ আগস্ট ব্লুমবার্গ ডট কমে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। চীনে গ্রেফতার দুজন হলেন-ডিং (৪৫) ও গাও শুহুয়া (৫৩)।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্যাসিনো ব্যবসায়ী ডিং ২০১৬ সালের মার্চে ও শুহুয়া আগস্টে চীনে পুলিশের হাতে ধরা পড়েন। বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ জুয়াকেন্দ্র ম্যাকাওতে ডিং ২০০৭ সালে একটি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান চালু করেন। তিনি জুয়ারিদের এনে এখানকার ক্যাসিনোতে জুয়ার আসর বসাতেন। অন্যদিকে, শুহুয়া পেইচিংয়ে একটি ক্যাসিনো চালান। ফিলিপাইনে অন্তত ২৯টি স্থানে তার ক্যাসিনো নেটওয়ার্ক রয়েছে।
তারা দুজন বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা সরিয়ে নিতে উত্তর কোরিয়ার হ্যাকারদের সহায়তা নিতে পারেন বলে হংকং পুলিশের ধারণা। ওই অর্থ তারা উত্তর কোরিয়াতেও পাঠিয়ে দিতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার (এনএসএ) দাবি, চীনের মধ্যস্বত্বভোগীদের সহায়তায় উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা ওই বিপুল অংকের অর্থ লোপাট করে বলে তদন্তে জেনেছেন এফবিআই কর্মকর্তারা।
ব্লুমবার্গের ৩ আগস্টের প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে ডিং ও শুহুয়ার যোগসাজশে পাতানো জুয়ার মাধ্যমে রিজার্ভের চুরির অর্থ ভাগাভাগির বিষয়টিও। বলা হয়েছে, ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলার ক্যাসিনো সোলারির একটি ভিআইপি কক্ষে জুয়ার আসর বসান চীনা জুয়ারি ডিং, শুহুয়া ও কয়েক সঙ্গী। খেলার সময় তারা যে ছোট পাতলা চিপ দিয়ে বাজি ধরেন, তার প্রতিটির দর ২০ হাজার মার্কিন ডলার। মূলত ওই খেলা ছিল পাতানো এবং জুয়ারীরাদের উদ্দেশ্য ছিল হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে আনা রিজার্ভের টাকা ভাগাভাগি করে নেওয়া।
হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে অর্থ চুরিতে সম্পৃক্ততা ডিং ও শুহুয়ার জন্য প্রথম নয়। ক্যাসিনো পরিচালনা ও জুয়ার আসরের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরেই তারা এর সঙ্গে জড়িত।
প্রসঙ্গত ২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে সংরক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের ৮ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার চুরি হয়ে যায়। চুরি যাওয়া অর্থের কিছু পরিমাণ ফিলিপাইনের আরসিবিসি ব্যাংকের কয়েকটি অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করে হ্যাকাররা। চুরি যাওয়া অর্থের মধ্যে ২ কোটি ডলার শ্রীলঙ্কার কেন্দ্রীয় ব্যাংক শুরুতেই আটকে দেয় এবং পরে তা ফিরিয়ে দেয়। বাকি অর্থ এখনও ফেরত পায়নি বাংলাদেশ। পরে ধারাবাহিক তদন্তে আসতে থাকে উত্তর কোরিয়া ও চীনা হ্যাকারদের নাম।
//এআর