বগুড়ায় ছাত্রী ধর্ষণ
তুফান ও মার্জিয়ার ফের রিমান্ড চায় পুলিশ
প্রকাশিত : ১২:৪২ পিএম, ৬ আগস্ট ২০১৭ রবিবার | আপডেট: ০৩:০৬ পিএম, ৬ আগস্ট ২০১৭ রবিবার
প্রতিকি ছবি
বগুড়ার ছাত্রীকে ধর্ষণ ও নির্যাতনের দুটি মামলার আসামি শ্রমিক লীগ নেতা তুফান সরকার ও মার্জিয়া আকতারকে ফের তিন দিনের রিমান্ডে নিতে চায় পুলিশ। দুই দিনের রিমান্ড শেষে রোববার তাঁদের আদালতে হাজির করা হচ্ছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সদর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আবুল কালাম আজাদ গণমাধ্যমকে বলেন, বগুড়ার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম শ্যামসুন্দর রায়ের আদালতে দুজনকে হাজির করে ফের তিন দিনের রিমান্ড আবেদন জানানো হবে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেন, এর আগে তুফান সরকারকে তিন দফায় সাত দিন এবং মার্জিয়াকে দুই দফায় ছয় দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তবে তুফান নির্যাতিত ছাত্রীকে ধর্ষণ এবং নারী কাউন্সিলর মার্জিয়া নির্যাতন ও চুল কেটে দেওয়ার কথা স্বীকার করেননি। শেষ দফায় গত শুক্রবার বগুড়ার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মোহা. আহসান হাবিবের আদালত তুফান ও রুমকির দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ওই দিন একই আদালতে তুফান সরকারের সহযোগী মুন্না ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
এর আগে আদালতে দোষ স্বীকার করে স্বীকারোক্তি দেন তুফানের আরেক সহযোগী আতিক এবং নাপিত জীবন রবিদাস।
১৭ জুলাই বিকেলে ওই ছাত্রীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন বগুড়ার শহর শ্রমিক লীগের নেতা তুফান সরকার। পরে তুফান সরকারের স্ত্রী আশা সরকার এবং তার বড় বোন নারী কাউন্সিলর এবং তুফানের ক্যাডাররা ধর্ষণের শিকার ছাত্রী ও তার মায়ের ওপর নির্যাতন চালান।
এরপর দুজনেরই মাথা ন্যাড়া করে দেন। এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর মা বাদী হয়ে ২৮ জুলাই রাতে মামলা করেন। এর মধ্যে এজাহারভুক্ত নয়জনসহ মোট ১১ জন আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
//এআর