আইন না হওয়ায় জামায়াতে ইসলামীর অপরাধের বিচার শুরু করা যাচ্ছে না- রানা দাশ গুপ্ত
প্রকাশিত : ০৩:৫০ পিএম, ২৫ মার্চ ২০১৬ শুক্রবার | আপডেট: ০৮:০৫ পিএম, ২৫ মার্চ ২০১৬ শুক্রবার
২০১০ সালের ২৫শে মার্চ যাত্রা শুরুর পর থেকে মানবতা বিরোধী অপরাধের ২২ মামলায় ২৮ জনের বিচারকাজ সম্পন্ন করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তবে প্রসিকিউটর রানা দাশ গুপ্ত জানালেন, এখনও আইন না হওয়ায় তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত হলেও, জামায়াতে ইসলামীর অপরাধের বিচার শুরু করা যাচ্ছে না। অবশ্য, যুদ্ধাপরাধীর বিচার করে ট্রাইব্যুনাল যেভাবে ইতিহাস গড়েছে, তাতে সংশয় নেই কারও।
বিগত সরকারগুলোর উদাসীনতা ও অসহযোগিতাসহ নানা কারনে দেরিতে হলেও, শেষ পর্যন্ত বিচার হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধে মানবতা বিরোধী অপরাধীদের। এ জন্য ২০১০ সালের ২৫ মার্চ পুরনো হাইকোর্ট ভবনে স্থাপন করা হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এরপর বিচার কাজ দ্রুত করতে দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। সেই থেকে ২০১৬ সালের ফেব্র“য়ারি পর্যন্ত ২৮ জনের বিচারকাজ শেষ করে রায় দিয়েছে এই দুই ট্রাইব্যুনাল।
আরো ২১ মামলায় ৬০ জনের বিরুদ্ধে অপরাধের তদন্ত করছে তদন্ত সংস্থা। সংগঠন হিসেবে জামাতে ইসলামীর অপরাধের মামলাসহ ৮টি মামলা তদন্ত শেষ করে ট্রাইব্যূনালে দাখিল করেছে তদন্ত সংস্থা। কিন্তু, তদন্ত সংস্থার কিছু দুর্বলতাকে পুঁজি করে যারা ট্রাইব্যুনালকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করেছে, তারা সফল হবে না বলে জানিয়েছেন সংস্থার সহ-সমন্বয়ক।
এদিকে, প্রসিকিউটর রানা দাশ গুপ্ত জানিয়েছেন, তদন্ত প্রতিবেদন থাকলেও জামায়াতের বিচার এ মাসে শুরু হচ্ছে না। তবে, খুব সময়ও লাগবে না।
যুদ্ধাপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জামাত-বিএনপি’র শীর্ষস্থানীয়দের বিচার শেষে কাদের মোল্লা, কামারুজ্জামান, মুজাহিদ ও সাকা চৌধুরীর দন্ড কার্যকর হয়েছে। এখন আপিল বিভাগে মতিউর রহমান নিজামী, মীর কাসেম আলীর মামলাসহ চূড়ান্ত নিষ্পত্তির অপেক্ষায় আছে ১০টি মামলা।
এই বিচারের মাধ্যমে বাংলাদেশ তার ইতিহাসের একটি অধ্যায়ের ইতি টানতে পারবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।