মোরশেদ খানসহ সিটিসেলের আটজনের বিরুদ্ধে পাঁচ মামলা
প্রকাশিত : ১২:৫৪ পিএম, ৭ আগস্ট ২০১৭ সোমবার | আপডেট: ০৩:৩২ পিএম, ৮ আগস্ট ২০১৭ মঙ্গলবার
![](https://www.ekushey-tv.com/media/imgAll/2017July/citycell-inner20170807015417.jpg)
সিটিসেলের পরিচালক ও বিএনপি নেতা এম মোরশেদ খানসহ আট জনের বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা দায়ের করেছেন ওই কোম্পানির পাঁচ কর্মকর্তা। বকেয়া মজুরির দাবিতে সোমবার ঢাকার প্রথম শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান বেগম তাবাসসুম ইসলামের আদালতে এ মামলাগুলো করা হয়।
আদালত মামলাগুলো গ্রহণ করে আগামী ৪ অক্টোবরের মধ্যে এ বিষয়ে জবাব দেওয়ার জন্য আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন।
মামলার অপর বিবাদীরা হলেন- প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেডের (সিটিসেল) সিইও মেহবুব চৌধুরি, পরিচালক ও মোরশেদ খানের স্ত্রী নাসরিন খান, পরিচালক আসগর করিম, চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার তারিকুল হাসান, সিটিও ও প্রভিডেন্ড ফান্ড ট্রাস্টির সদস্য মাহফুজুর রহমান, প্রভিডেন্ড ফান্ড ট্রাস্টির সদস্য নিশাত আলী ও প্রভিডেন্ড ফান্ড ট্রাস্টির সদস্য এ বি সরকার।
মামলার বাদীরা হলেন- সিটিসেলের কর্মকর্তা টিপু সুলতান, কাজী রুহুল কুদ্দুস, হাসান মাহমুদ, মোসাদ্দেক মিলন ও এ কে এম এহসানউল আজাদ।
বাদীপক্ষের আইনজীবী তানজিম আল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, বকেয়া প্রায় দেড় কোটি টাকার জন্য সিটিসেলের পাঁচ কর্মকর্তা পৃথক পাঁচটি মামলা করেছেন। মামলায় সিটিসেলের পরিচালক ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোরশেদ খানসহ আট জনকে বিবাদী করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে তাদের বিরুদ্ধে আরও ২৫টি মামলা করা হবে।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, বাদীরা দীর্ঘ দিন ধরে দেশের প্রথম মুঠোফোন অপারেটর সিটিসেলে চাকরি করে আসছেন। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে তাদের যাবতীয় মজুরি কোনো কারণ ছাড়াই বন্ধ করে দেয় সিটিসেল কর্তৃপক্ষ।
দুই তিন মাস যাওয়ার পর তারা মজুরির টাকার জন্য কর্তৃপক্ষকে তাগিদ দিতে থাকেন। কর্তৃপক্ষ ডিসেম্বরের মধ্যে তা পরিশোধের জন্য আশ্বাস দেন।
গত মার্চ মাসে তাদের পাওনা টাকা পরিশোধের জন্য সম্মিলিতভাবে সিটিসেল কর্তৃপক্ষকে একটি চিঠি দেন। এরপরও টাকা না দেয়ায় ২০১৭ সালের ৩ মে সিটিসেল কর্তৃপক্ষকে একটি লিগ্যাল নোটিশ দেন করেন তারা। শেষ পর্যান্ত তারা মামলা করার সিদ্ধান্ত নেন।
//এআর