ঢাকা, রবিবার   ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪,   আশ্বিন ১৩ ১৪৩১

১৯৫ পাকিস্তানি সেনাকে কাগজে কলমে হাজির করার কথা জানালেন সানাউল হক

প্রকাশিত : ০৯:৪৪ এএম, ২৫ মার্চ ২০১৬ শুক্রবার | আপডেট: ০২:৫০ পিএম, ২৫ মার্চ ২০১৬ শুক্রবার

একাত্তরের ২৫শে মার্চের গণহত্যার খলনায়কদের বিচার পাকিস্তান তো করেইনি, বরং বিচারের নামে দেশে ফিরিয়ে পুরস্কৃত করা হয়। তাইতো ইতিহাসে রেকর্ড রাখার জন্য হলেও জেনারেল নিয়াজীসহ ১৯৫ পাকিস্তানি সেনাকে কাগজে কলমে হাজির করার কথা জানালেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যূনালের তদন্ত সংস্থার সহ-সমন্বয়ক সানাউল হক। একাত্তরের ২৫ শে মার্চ কালরাতে পাকিস্তানী হায়েনাদের বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞে রঞ্জিত হয়েছিলো ঢাকা; ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে ইতিহাসের ভয়াবহ ঐ গণহত্যায় কেঁদেছিলো বিশ্ব। ঐ গণহত্যার নায়ক ছিলেন তৎকালীন পূর্বাঞ্চলীয় কামান্ডের প্রধান জেনারেল টিক্কা খান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল ও আশপাশের এলাকায় অপরেশনের কমান্ডিং অফিসার ছিলেন ব্রিগেডিয়ার জাহানজেব খান। ৯ মাস যুদ্ধ শেষে ১৬ই ডিসেম্বর জেনারেল নিয়াজীর নেতৃত্বে আত্মসমর্পণ করে পাকিস্তানী সেনারা। যুদ্ধবন্দী পাকিস্তানী ১৯৫ সেনার বাইরে ইয়াহিয়া ও টিক্কা খানের নামও যুদ্ধাপরাধের মূল হোতা হিসেবে সবসময় উচ্চারিত। ১৯৭৪ সালে ত্রি-পক্ষীয় চুক্তির আওতায় ঐ ১৯৫ সৈন্যকে তুলে দেয়া হয় পাকিস্তানের হাতে। এর আগেই ১৯৭২ সালে পাকিস্তান সরকার গঠন করে হামিদুর রহমান কমিশন। কমিশনের রিপোর্টের পরতে পরতে ছিল পাকিস্তানী সৈন্যদের অপকর্মের সাক্ষ্য। কিন্তু বাক্সবন্দী হয় সেই রিপোর্টও। যুদ্ধাপরাধী কর্মকতারা উল্টো পান পদন্নতি। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যূনালের তদন্ত সংস্থা মনে করে, ইতিহাসে রেকর্ড রাখার জন্য হলেও একাত্তরে গণহত্যার মূলপরিকল্পনাকারীসহ ১৯৫ পাকিস্তানি সেনাকে কাগজে কলমে হাজির করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ১৯৫ পাকিস্তানী সেনার তথ্য উপাত্ত সংগ্রহে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন বলেও জানান তিনি।