ঢাকা, শুক্রবার   ০৫ জুলাই ২০২৪,   আষাঢ় ২১ ১৪৩১

৭০ দেশের শিক্ষার্থীদের প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন ঢাবি

প্রকাশিত : ০৪:১৮ পিএম, ১২ আগস্ট ২০১৭ শনিবার | আপডেট: ০৪:২০ পিএম, ১২ আগস্ট ২০১৭ শনিবার

ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সঙ্গে চ্যাম্পিয়ন স্মারক হাতে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা

ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সঙ্গে চ্যাম্পিয়ন স্মারক হাতে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা

বাংলাদেশের মেধা বিশ্বস্বীকৃত, সেটি আবারও প্রমাণ করলেন দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীরা। পিয়ার টু পিয়ার: ফেসবুক গ্লোবাল ডিজিটাল চ্যালেঞ্জ স্প্রিং ২০১৭প্রতিযোগিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অজর্ন করেছেন

ঢাবি ‘থিংক টোয়াইস, অ্যাক্ট ওয়াইজ’ দল ৭০টি দেশ থেকে অংশ নেওয়া ১৬০টি দলের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে এ পুরস্কার জেতে। প্রাইজমানি হিসেবে পেয়েছে ৫ হাজার ডলার।

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সাল থেকে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ‘পিয়ার টু পিয়ার: ফেসবুক গ্লোবাল ডিজিটাল চ্যালেঞ্জ’ প্রতিযোগিতা। আয়োজক ফেসবুক, অ্যাডভেঞ্চার আর পার্টনার ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্ট এবং যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটিজ। যেকোনো ধরনের উগ্রবাদের বিরুদ্ধে প্রচারণাকে উৎসাহ দিতে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। 

বিজয়ী দলের সদস্য ঢাবি উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের ছাত্র ইমরান আহসান এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে বলেন, ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্টের অ্যালামনাই থেকে প্রথম প্রতিযোগিতা বিষয়ে জানতে পারি। পরে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ছাত্রদের নিয়ে ‘থিংক টোয়াইস, অ্যাক্ট ওয়াইজ’ দল গঠন করি। দলটির পরামর্শক হিসেবে ছিলেন উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আসিফ মোহাম্মদ শাহান।

চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি ছিল আইডিয়া পাঠানোর সারসংক্ষেপ। আমরা আমাদের আইডিয়া তুলে ধরার মাধ্যম হিসেবে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মশালা আয়োজন, ডিজিটাল মিডিয়া ইউটিউব, ফেসবুক, ওয়েবসাইটের মাধ্যমে উগ্রতার বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরি। কয়েক দিন পর অ্যাডভেঞ্চার পার্টনারের পক্ষ থেকে ফিরতি ই-মেইলে আইডিয়া মনোনীত হওয়ার কথা জানিয়ে দেয়া হয়।

৭০টি দেশ থেকে ১৬০টি দলকে মনোনীত হওয়ার কথা জানানো হয়। পরে দলটি পুরোদমে কাজে নেমে পড়ে। www.think2act.org ওয়েবসাইটের মাধ্যমে উগ্রতার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধর্ম ও বর্ণের সম্প্রীতির খবর তুলে ধরা হয়।

৭ জুন ছিল দলটির কার্যক্রম পাঠানোর শেষ দিন। ঈদুল ফিতরের আগে জানানো হয় প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে মনোনীত হওয়ার কথা। সঙ্গে পাঠানো হয় আমন্ত্রণপত্র। ফাইনাল প্রেজেন্টেশন হবে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইউনিয়ন বিল্ডিংয়ে।

আমরা ১৬ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছি। ১৯ জুলাই ছিল প্রেজেন্টেশন। চূড়ান্ত পর্বে বাংলাদেশের প্রতিযোগী হিসেবে ছিল নাইজেরিয়া, স্পেন ও ফিলিপাইন। দলের পরামর্শক ড. আসিফ মোহাম্মদ শাহান জানান, বাংলাদেশের ছাত্ররা কঠোর পরিশ্রম করেছে। তাদের পরিশ্রম সার্থক হয়েছে। ৭০টি দেশের ১৬০টি দলকে হারানো সত্যিই আনন্দের বিষয়।

//আর//এআর