রেললাইনে তিস্তার পানি
ঢাকা-লালমনিরহাট রুটে যোগাযোগ বন্ধ
প্রকাশিত : ০১:২৫ পিএম, ১৩ আগস্ট ২০১৭ রবিবার
উজানের পাহাড়ি ঢল ও প্রবল বৃষ্টিতে লালমনিরহাটের ৫ উপজেলার প্রায় ২ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। জেলায় তিস্তা, ধরলা, সানিয়াজান, সিংঙ্গীমারী নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এ সংকট তৈরি হয়েছে।
একই সঙ্গে নদীগেুলোর পানি রেললাইনের উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় ঢাকা-লালমনিরহাট রুটে রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়েছে। রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে তিস্তা ব্যারেজ এলাকায়।
রোববার সকাল থেকে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যারেজের সব (৪৪টি) গেট খুলে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। তিস্তা ব্যারেজ রক্ষার বাইপাস সড়কটি ভেঙে যাওয়ায় পাউবো বালুর বস্তা দিয়ে বন্ধ করার চেষ্টা করছে।
জেলার পাটগ্রাম উপজেলা ও পৌর শহরে ধরলার পানি প্রবেশ করে মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। সদর উপজেলার তিস্তা রেলস্টেশন সংলগ্ন ও জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার কয়েকটি জায়গায় রেললাইনে উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় লাইনের নিচে বিশাল আকার গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। এতে বর্তমানে লালমনিরহাট-বুড়িমারী রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ আছে। হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের সঙ্গে খানের বাড়ি যাওয়ার একমাত্র পাকা রাস্তা ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছন্ন রয়েছে।
রোববার সকাল থেকে ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সেখানে ভারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। এর ফলে লালমনিরহাটে ফের বন্যা দেখা দিয়েছে। তিস্তা, ধরলা, সানিয়াজান ও সিংঙ্গীমারী নদীর পানিও বিপদসীমার অনেক উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে লালমনিরহাট জেলার পাঁচটি উপজেলা ও দুটি পৌরসভাসহ জেলার ৪৫টি ইউনিয়নের প্রায় ২ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
বন্যার পানি লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়কের পাশাপাশি দহগ্রাম সড়কের কয়েক ফুট উপর দিয়েও প্রবাহিত হচ্ছে। এরই মধ্যে পাটগ্রাম পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডসহ উপজেলার তিস্তা তীরবর্তী দহগ্রাম, বাউড়া, হাতীবান্ধার সানিয়াজান, ফকিরপাড়া, গড্ডিমারী, ডাউয়াবাড়ী, সিঙ্গীমারী, পাটিকাপাড়া, সিন্দুর্না, কালীগঞ্জের ভোটমারী, আদিতমারীর মহিষখোচা, দুর্গাপুর, পলাশী, লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোকুন্ডা, রাজপুর, মোঘলহাট কুলাঘাট ও খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের নদী বিধৌত এলাকা পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
//আর//এআর