ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

মায়ের সামনে ছেলের করুণ মৃত্যু!

প্রকাশিত : ১২:০২ পিএম, ১৪ আগস্ট ২০১৭ সোমবার

একসঙ্গে দুই ছেলেকে নিয়ে এমন ছবি মা মিন্টু সরকারের কাছে এখন শুধুই স্মৃতি। মায়ের কাছ থেকে বহু দূরে চলে গেছে বড় ছেলে জয়দ্বীপ (ডানে)। ছবি: সংগৃহীত

একসঙ্গে দুই ছেলেকে নিয়ে এমন ছবি মা মিন্টু সরকারের কাছে এখন শুধুই স্মৃতি। মায়ের কাছ থেকে বহু দূরে চলে গেছে বড় ছেলে জয়দ্বীপ (ডানে)। ছবি: সংগৃহীত

স্কুল লাইব্রেরিতে বই নিতে গিয়ে আলমারির নিচে চাপা পড়ে মায়ের সামনেই মারা গেলে এক শিশু। নিহত শিশু শিক্ষার্থীর নাম জয়দ্বীপ দত্ত (১২)। মা মিন্টু দত্ত। রোববার বেলা ২টার দিকে চট্টগ্রাম মহানগরীর কোতোয়ালির পাথরঘাটায় সেন্ট প্লাসিডস স্কুলে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।


জয়দ্বীপ ওই স্কুলের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র। মা মিন্টু দত্ত একই স্কুলের লাইব্রেরি ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত। এ ঘটনায় গোটা স্কুলে শোকের ছায়া নেমে আসে। জয়দ্বীপের বাবা দেবাশীষ দত্ত ক্রেডিট আনোয়ারা মিশনারি স্কুলের শিক্ষক। দুই ছেলে নিয়ে এ শিক্ষক দম্পতি নগরীর ফিরিঙ্গিবাজার এলাকার হাজী কলোনিতে বসবাস করেন।


প্রত্যক্ষদর্শী জয়দ্বীপরে সহপাঠীরা জানায়, স্কুলের লাইব্রেরিতে মায়ের পাশে বসে অঙ্ক করছিল জয়দীপ। রোববার অবশ্য তার স্কুলে যাওয়ার কথা ছিল না। কিন্তু বাসায় কেউ না থাকায় মা-ই তাকে স্কুলে নিয়ে যায়। অঙ্ক করার সময় হঠাৎ লাইব্রেরির একটি বইয়ের আলমারি এসে পড়ে জয়দীপের ছোট্ট শরীরের ওপর।


হাসপাতালে পৌঁছার আগেই মারা যায় শিশুটি। মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছিল শিশুটি। রোববার বেলা দেড়টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।


জয়দীপের বাবা দেবাশীষ দত্ত চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার মরিয়ম আশ্রম উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক। নগরের ফিরিঙ্গিবাজারের হাজি কলোনি এলাকায় তাঁদের বাসা। গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার পরৈকোরায়।


পরিবার জানায়, স্কুলে দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা চলছে। জয়দীপের অঙ্ক পরীক্ষা ছিল বুধবার।
সেন্ট প্লাসিডস স্কুল অ্যান্ড কলেজের উপাধ্যক্ষ ব্রাদার রিংকু লরেন্স কস্তা বলেন, দেড়টার দিকে স্কুল শাখা ছুটি হয়। তখন লাইব্রেরি থেকে ছেলেরা একসঙ্গে বের হওয়ার সময় হঠাৎ একটি বইয়ের আলমারি জয়দ্বীপের গায়ের ওপর পড়ে। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু শিশুটিকে বাঁচানো যায়নি।

 //এআর