শেখ হাসিনাকে হত্যার চক্রান্ত হচ্ছে : তোফায়েল
প্রকাশিত : ০৪:৩১ পিএম, ১৪ আগস্ট ২০১৭ সোমবার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চক্রান্ত করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, অতীতে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক একটি গোষ্ঠী বাংলাদেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি। তারাই চক্রান্ত করে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল। আজ তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও হত্যার চক্রান্ত করা হচ্ছে।
সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ড : দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্ত’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ সব কথা বলেন তোফায়েল আহমেদ।
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমদ বলেন, বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধু চার হাজার ৬৮২ দিন জেল খেটেছেন। বাঙালি জাতিকে তিনি উদ্বুদ্ধ করেছিলেন স্বাধীনতার জন্য। লক্ষ্য ছিল একটাই, বাঙালি জাতির মুক্তি, বাংলাদেশের স্বাধীনতা। বাঙালি জাতির প্রত্যেককে তিনি পরিবারের সদস্য মনে করতেন। তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের কথা শুনলে তিনি তা বিশ্বাস করতেন না।
বাণিজ্যমন্ত্রী আরো বলেন, দেশ-বিদেশে বঙ্গবন্ধুর জনপ্রিয়তা ছিল আকাশছোঁয়া। বিপুল জনপ্রিয়তার কারণেই তিনি দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তের শিকার হন। বঙ্গবন্ধু সারা জীবন বাঙালি জাতির জন্য সংগ্রাম করে গেছেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্ত করে ব্যক্তি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হলেও, কেউ বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে হত্যা করতে পারবে না। যত দিন বাংলাদেশ থাকবে, বাংলার মাটি থাকবে, বাংলাদেশের মানুষ থাকবে, তত দিন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বেঁচে থাকবে।
জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. শফিকুর রহমান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাংবাদিক সৈয়দ বদরুল হাসান। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা মো. ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাঈদ, আওয়ামী লীগ নেতা মোজাফ্ফর আহমেদ পল্টু, দৈনিক সমকালের সম্পাদক গোলাম সারওয়ার, ঢাকসুর সাবেক ভিপি মাহফুজা খানম, বিএফইউজের একাংশের সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, দৈনিক প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম মুকুল, জাতীয় প্রেসক্লাবের প্রথম সহসভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম, সহসভাপতি মো. আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত।
আরকে/ডব্লিউএন