ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

‘পল্লবের রোগ ভালো হওয়ার নয়’

প্রকাশিত : ০৩:৫২ পিএম, ১৫ আগস্ট ২০১৭ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৫:১৯ পিএম, ১৮ আগস্ট ২০১৭ শুক্রবার

বিরল রোগে আক্রান্ত তিন বছরের শিশু পল্লব চন্দ্র সরদারের রোগ আরোগ্যযোগ্য নয় বলে জানিয়েছেন নওগাঁর সিভিল সার্জন ডা. রওশন  আরা খানম হাসপাতালে ১০ দিন চিকিৎসার পর অবশেষে পল্লবকে বাড়ি পাঠানোর সিন্ধান্ত নিয়েছেন  চিকিৎসকরা

পল্লবের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সহযোগিতা চেয়েছে তার পরিবার।

পল্লব চন্দ্র জেলার বদলগাছী উপজেলার মিঠাপুর ইউনিয়নের হাকিমপুর গ্রামে ক্যাভার্ডভ্যান চালক আদিবাসী সুরেশ সরদারের ছেলে।

জন্মের পর থেকেই পল্লবের গায়ের চামড়া কুচকানো ছিল। পা থেকে মাথা পর্যন্ত সমস্ত শরীরের চামড়া যেন সাপের চামড়ার মতো দাগ কাটা। এরপর ধীরে ধীরে গায়ের চামড়া শক্ত হতে থাকে। নির্দিষ্ট সময় পর সাপের মতো গায়ের চামড়া পরিবর্তন হয়ে পাতলা ও প্রতিটি দাগ থেকে রস বের হয়।

পল্লবের শরীর থেকে প্রচুর তাপ বের হওয়ায় ঠাণ্ডা পরিবেশে এবং মাঝে মধ্যে নলকূপের ঠাণ্ডা পানিতে ভেজা গামছা পেঁচিয়ে রাখতে হয় শরীর। বিভিন্ন ডাক্তার ও কবিরাজী চিকিৎসা দেয়া হলেও অবস্থার কোন উন্নতি হয়নি।

নওগাঁর সিভিল সার্জন ডা. রওশন আরা খানম গণমাধ্যমকে বলেন, ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রফেসর ডা. তুষার সিকদারের সঙ্গে আমরা আলোচনা করেছি। পল্লবকে দেখালাম এবং তার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করলাম।

তিনি বলেন, আমরা যে চিকিৎসা দিচ্ছি, ঢাকায় নেয়া হলে একই চিকিৎসা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রফেসর ডা. তুষার সিকদার। তবে তিনি নতুন কিছু ওষুধ যোগ করেছেন। পল্লব এখন অনেক ভালো আছে। আরও কয়েকদিন হাসপাতালে রাখার পর পল্লবকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হবে।

সিভিল সার্জন বলেন, এটি একটি জন্মগত বা জেনেটিক সমস্যা। বর্তমানে যে ওষুধগুলো চলছে সমস্যা কিছুটা কমে যাবে। তবে একটু সাবধানে থাকতে হবে। চুলকানি ও অস্বস্তিবোধ হলে মলম ব্যবহার করতে হবে। কিভাবে গোসল ও কি তেল ব্যবহার করতে হবে সেভাবে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

পল্লবের মা প্রার্থনা রানী বলেন, অনেক আশা নিয়ে হাসপাতালে ছেলেকে নিয়ে আসছিলাম। ভাবলাম এতোদিনে হয়তো সুচিকিৎসার অভাবে ছেলের রোগ ভালো হয়নি। এবার ডাক্তাররা নিজেরাই আমার ছেলেকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে আসছে। ডাক্তাররা যখন বললেন এ রোগ ভালো হবার না। তখন মনটা খারাপ হয়ে গেল। তিনি ছেলের ভবিষ্যতের জন্য সরকারি সহযোগিতা কামনা করেন।

 

//আর//এআর