কারচুপি করলে সিটি নির্বাচনে হারতাম না: নাসিম
প্রকাশিত : ০৩:৫৮ পিএম, ১৬ আগস্ট ২০১৭ বুধবার
আওয়ামী লীগ সবার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায় উল্লেখক করে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, আমরা সবার অংশগ্রহণে নির্বাচন চেয়েছিলাম। এখনো আমরা চাই বিএনপিসহ সবাই নির্বাচনে আসুক। জনগণ যে রায় দেয়, সে রায় আমরা মেনে নেব। জনগণের ওপর আস্থা রাখতে হবে। এখন দুনিয়া তথ্য-প্রযুক্তির যুগ। কেউ কিছু করতে পারবে না। সবাই দেখবে বাংলাদেশের, সারা দুনিয়া দেখবে কীভাবে দেশে নির্বাচনে কারচুপি হচ্ছে কি হচ্ছে না। যদি তাই হতো তাহলে আমরা সিটি করপোরেশনে হারতাম না।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর ধানমণ্ডিতে জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমিতে (নায়েম) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে নাসিম এই মন্তব্য করেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন করেন নায়েমের মহাপরিচালক অধ্যাপক মো. হামিদুল হক।
আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জনগণের রায় মেনে নেবে উল্লেখ করে নাসিম বলেন, ‘বলতে চাই নির্বাচনে আসুন, নির্বাচন করুন। সত্তর সালে বঙ্গবন্ধু মার্শাল ল’ এর মাঝে নির্বাচন করেছিল। ওই রায়ের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু জনগণের ম্যান্ডেট পেয়েছিল বলে দেশ স্বাধীন হয়েছিল। জনগণের ভোটের ব্যালট হচ্ছে বুলেটের চেয়ে শক্তিশালী। আমরা বলতে চাই জনগণের ওপর আস্থা রাখুন। জনগণ যে রায় দেবে, আমরা তা মেনে নেব।
নির্বাচনের মাঠ ছেড়ে বিএনপিকে পালিয়ে না যাওয়ার অনুরোধ করে নাসিম বলেন, দীর্ঘদিন বিরোধী দলে ছিলাম, নির্যাতন সহ্য করেছি। ভয় তো পাইনি।নির্বাচন ছেড়ে কোনো দিন যাইনি। তাই আবারও বলব, ইলেকশনে আসুন, মাঠ ছেড়ে পালিয়ে যাবেন না দয়া করে। মানুষকে জ্বালানোর চেষ্টা করবেন না।
নাসিম বলেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। বারবার এক্সপেরিমেন্ট করা সম্ভব নয়। একবার এক নিয়মে হবে আর একবার আর এক নিয়মে হবে—সেটা করা সম্ভব নয়। সংবিধান বলে দিয়েছে কোনভাবে নির্বাচন হবে। জনগণ যাকে ইচ্ছা ভোট দিবে।
নাসিম বলেন, আমরা দেখেছি এই দেশের বিচারকরা জিয়াউর রহমানের সামরিক শাসনের প্রেসিডেন্ট হয়েছে, এরশাদের সামরিক শাসনের প্রেসিডেন্ট হয়েছে। আমি বলতে চাই এই দেশে অনেক কিছুই হয়েছে যার অসঙ্গতি দূর করেছেন একমাত্র শেখ হাসিনা। একজন হত্যাকারীকে আপনি শাস্তি দেবেন না, তা হতে পারে না।
সম্প্রতি সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ের পর্যবেক্ষণে উল্লেখিত একটি বিষয়ের সমালোচনা করে নাসিম বলেন, আমি পার্লামেন্টের ছয় বার সদস্য নির্বাচিত হয়েছি। বলা হলো পার্লামেন্টে নাকি অজ্ঞরা বসে আছে। আমি জিজ্ঞাসা করি যেদিন পার্লামেন্টে খুনিরা বসে ছিল, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরা পার্লামেন্টের বিরোধী দলের নেতা হয়েছিল, সেদিন কেন বলা হয়নি যে পার্লামেন্টে খুনিরা বসে আছে?
//এআর