চোরাবালি থেকে ছাত্রীকে বাঁচানো ছাত্রের লাশ উদ্ধার
প্রকাশিত : ০৩:১০ পিএম, ১৭ আগস্ট ২০১৭ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৫:৩২ পিএম, ১৮ আগস্ট ২০১৭ শুক্রবার
দুই ছাত্রীকে চোরাবালি থেকে বাঁচিয়ে সাগরে নিখোঁজ চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই ছাত্রের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজের ২২ ঘন্টা পর জেলেদের জালে নাকিব মোহাম্মদ খাব্বাব নামে ওই ছাত্রের লাশ পাওয়া গেছে। তিনি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ১৩তম ব্যাচের ছাত্র ছিলেন।
খাব্বাবের মৃত্যুতে তার পরিবার ও সহপাঠীদের মধ্যে শোকের ছায়া বিরাজ করছে। খাব্বাব কুমিল্লা নগরীর ইবনে তাইমিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রিন্সিপাল মু. শফিকুল আলম হেলালের বড় ছেলে। তার গ্রামের বাড়ি জেলার কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার গালিমপুর ইউনিয়নের ধনিশ্বর গ্রামে। খাব্বাবের বাবা পবিত্র হজ্ব পালনের জন্য বর্তমানে সৌদি আরব রয়েছেন। তিনি সীতাকুণ্ডের গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকতে বন্ধুদের সাথে সাগরে বেড়াতে গিয়ে গত মঙ্গলবার বিকেলে নিখোঁজ হন।
জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুরে খাব্বাবসহ তার সাত থেকে আটজন বন্ধু ব্যক্তিগত উদ্যোগে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের গুলিয়াখালী সৈকতে বেড়াতে যান। এসময় চোরাবালিতে আটকে যাওয়া দুই ছাত্রীকে উদ্ধার করতে গিয়ে খাব্বাব সাগরে ভেসে যান। খবর পেয়ে উদ্ধার অভিযান শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দল ও স্থানীয় জেলেরা। বুধবার দুপুর ১টার দিকে জেলেদের জালে ওই ছাত্রের লাশ পাওয়া যায়।
বুধবার বিকেল ৪টার দিকে সীতাকুণ্ডের সাদেক মাস্তান উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে খাব্বাবের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে চুয়েটের শিক্ষক ও তার সহপাঠীরা অংশগ্রহণ করেন। পরে খাব্বাবের লাশ তার বাবার কর্মস্থল ও তার মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানস্থল কুমিল্লা নগরীর ইবনে তাইমিয়া স্কুল এন্ড কলেজে আনা হয়। সেখানে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
আরকে/ডব্লিউএর